৬৬ দেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থাকে চূড়ান্ত নিবন্ধন দিলো ইসি

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের জন্য ৬৬টি দেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থাকে চূড়ান্ত নিবন্ধন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

একই সঙ্গে ১৬টি সংস্থার বিষয়ে দাবি-আপত্তি জানাতে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে মতামত দিতে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে কমিশন।

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে ইসি এ তথ্য জানায়।

এর আগে গত ২৮ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য ৭৩টি স্থানীয় সংস্থার প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করে কমিশন। দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তি শেষে ৬৬টি সংস্থাকে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।

ইসি জানায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নিবন্ধিত ৯৬টি স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন ‘নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা ২০২৫’-এর ধারা ১৬ অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়েছে। নতুন নীতিমালা অনুসারে যোগ্য বেসরকারি সংস্থাসমূহকে পুনরায় নিবন্ধনের জন্য আবেদন আহ্বান করা হয়।

আগ্রহী সংস্থাগুলোকে আগামী ১০ আগস্ট (রোববার) বিকেল ৫টার মধ্যে সিনিয়র সচিব, নির্বাচন কমিশন বরাবর নির্ধারিত আবেদন ফরম (EO-1) এ আবেদন জমা দিতে হবে।

নিবন্ধন নীতিমালা, বিজ্ঞপ্তি ও আবেদন ফরম নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জনসংযোগ শাখা (কক্ষ নং–১০৫) অথবা ইসির ওয়েবসাইট www.ecs.gov.bd থেকে সংগ্রহ করা যাবে।

এর আগে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ২০২৩ সালের পুরনো নীতিমালা বাতিল করে নতুন “নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা ২০২৫” জারি করে বর্তমান নাসির উদ্দিন কমিশন। ফলে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নিবন্ধিত ৯৬টি সংস্থার নিবন্ধন বাতিল হয়। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী ভবিষ্যতে সব দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন হবে।

প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে প্রথমবারের মতো পর্যবেক্ষক নিবন্ধন প্রথা চালু করে ইসি। সে সময় ১৩৮টি সংস্থা নিবন্ধন পায় এবং ১ লাখ ৫৯ হাজার ১১৩ জন পর্যবেক্ষক দায়িত্ব পালন করেন।
২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩৫টি সংস্থার ৮ হাজার ৮৭৪ জন, ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনে ৮১টি সংস্থার ২৫ হাজার ৯০০ জন, এবং সর্বশেষ ২০২৪ সালের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ৮০টি সংস্থার ২০ হাজার ২৫  জন।