[email protected] মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫
২৩ বৈশাখ ১৪৩২

জাতির পিতা, ৭ মার্চসহ কয়েকটি বিষয় সংসদের জন্য রেখে দিয়েছেন আদালত

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ৫:৪৫ পিএম

ফাইল  ছবি

হাইকোর্ট, সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর কিছু অংশ বাতিল করে, দলীয় সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচন সংক্রান্ত বিধানকে বাতিল করে, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল করেছে।

তবে আদালত পুরো সংশোধনী বাতিল না করে, কিছু বিষয় ভবিষ্যৎ সংসদের সিদ্ধান্তের জন্য রেখে দিয়েছে।

২০১১ সালের ৩০ জুন, জাতীয় সংসদ পঞ্চদশ সংশোধনী বিল পাস করার পর রাষ্ট্রপতি ২০১১ সালের ৩ জুলাই তাতে অনুমোদন দেন। এই সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্তি হয় এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়া হয়। আরও, সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসনের সংখ্যা ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ৫০ করা হয়, সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা পুনর্বহাল করা হয়, এবং রাষ্ট্রীয় মূলনীতি হিসেবে জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি সংযোজন করা হয়। একইসঙ্গে, ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ, ২৬ মার্চের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রও সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

আজ (মঙ্গলবার), পৃথক রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে, বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের ২০ ও ২১ ধারাকে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং বাতিল ঘোষণা করেন। পাশাপাশি পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে যুক্ত ৭ক, ৭খ এবং ৪৪ (২) অনুচ্ছেদ বাতিল ঘোষণা করেন আদালত।

এ রায় অনুসারে, রিটকারীর আইনজীবী শরীফ ভূঁইয়া জানান, তারা পুরো পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল চেয়েছিলেন, কিন্তু আদালত কিছু ধারাবাহিকতা রক্ষা করে এবং বাকিগুলোর বৈধতা ভবিষ্যৎ সংসদের জন্য রেখে দিয়েছে।

রায়ের পর সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার মন্তব্য করেন, "আদালত রাজনীতিবিদদের ওপর সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার ছেড়ে দিয়েছে, যা একটি প্রজ্ঞাবান এবং ঐতিহাসিক রায়।"

 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর