[email protected] সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫
১ পৌষ ১৪৩২

ট্রাম্পের ফোনকলের পরও সংঘাত চলছে থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার মধ্যে

প্রতিদিনের বাংলা ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ১:০৫ পিএম

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফোনালাপের পরও

দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে চলমান সংঘাত থামেনি। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী মৌখিকভাবে যুদ্ধবিরতির আহ্বানে সাড়া দিলেও বাস্তবে সীমান্তে সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে।

শুক্রবার রাতে ট্রাম্প থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী আনুতিন চার্নভিরাকুল এবং কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেতের সঙ্গে পৃথকভাবে টেলিফোনে কথা বলেন। পরে নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প জানান, দুই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার আলোচনা ইতিবাচক হয়েছে এবং তারা পুরোনো শান্তি চুক্তি মেনে স্বল্প সময়ের মধ্যে যুদ্ধবিরতিতে যেতে সম্মত হয়েছেন। ট্রাম্প আরও দাবি করেন, এই সমঝোতাটি তার ও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের তত্ত্বাবধানে হয়েছিল এবং উভয় দেশ তাতে স্বাক্ষর করেছিল।

তবে ট্রাম্পের এই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পর রয়টার্স উভয় দেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা জানান, বাস্তবে সংঘর্ষ এখনও চলছে। দুই পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে।

কম্বোডিয়ার তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, থাইল্যান্ডের বাহিনী বোমাবর্ষণ বন্ধ করেনি এবং হামলা অব্যাহত রেখেছে। অপরদিকে থাই সেনাবাহিনীর মুখপাত্ররা অভিযোগ করেন, কম্বোডীয় সেনারা বেসামরিক জনগণকে লক্ষ্যবস্তু বানাচ্ছে এবং সীমান্তবর্তী এলাকায় ল্যান্ডমাইন পুঁতে দিচ্ছে।

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে ‘এমারেল্ড ট্রায়াঙ্গল’ বা পান্না ত্রিভূজ নামে পরিচিত প্রায় ৮০০ বর্গকিলোমিটার একটি সীমান্ত এলাকার মালিকানা নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে। প্রায় ১১৫ বছর ধরে চলমান এই বিরোধ বহুবার সহিংসতায় রূপ নিয়েছে।

দীর্ঘ সময় সংঘাত চলার পর প্রায় ১৫ বছর আগে প্রথমবারের মতো দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছালেও ২০২৪ সালের মে মাস থেকে ফের উত্তেজনা বাড়তে শুরু করে। সেই উত্তেজনার জেরে গত জুলাইয়ের শেষ দিকে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে পাঁচ দিনব্যাপী সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় দেশের অন্তত ৪৮ জন নিহত হন এবং প্রায় ৩ লাখ মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন।

পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির ঘোষণা এলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে সেটি কার্যকর হয়নি বলেই মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।

ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপের পর শনিবার রয়টার্স থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করলে এক কর্মকর্তা স্পষ্টভাবে জানান, কম্বোডিয়ার সঙ্গে কোনো নতুন যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়নি।

এদিকে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে বলেন, তার দেশ সবসময় শান্তিপূর্ণ সমাধানে বিশ্বাসী এবং বর্তমান উত্তেজনার জন্য পুরোপুরি থাইল্যান্ড দায়ী।

 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর