[email protected] সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫
১ পৌষ ১৪৩২

কম্বোডিয়ার সঙ্গে সংঘাতের মধ্যেই পার্লামেন্ট ভেঙে দিলো থাইল্যান্ড

প্রতিদিনের বাংলা ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২ ডিসেম্বর ২০২৫ ১:১২ পিএম

কম্বোডিয়ার সঙ্গে সীমান্ত উত্তেজনার মধ্যেই থাইল্যান্ডের

রাজা মাহা ভাজিরালঙকর্ন সংসদ ভেঙে দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার জারি করা এক রাজকীয় আদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক হিসেবে সংসদ বিলুপ্তির ঘোষণা দেওয়া হয়। থাইল্যান্ডের সংবিধান অনুযায়ী, সংসদ ভেঙে দেওয়ার পর ৪৫ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন বাধ্যতামূলক।

প্রধানমন্ত্রী আনুতিন চার্নভিরাকুলের পরামর্শেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আনুতিন বলেন, ক্ষমতায় আসার তিন মাসের মধ্যে সীমান্ত সংঘাতসহ নানা জাতীয় সংকটের মুখে পড়তে হয়েছে তাকে, যা একটি নির্বাচিত সরকারই দক্ষতার সঙ্গে সামলাতে পারে। তাই রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার স্বার্থে তিনি সংসদ ভেঙে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

সম্প্রতি দেশের দক্ষিণাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যায় ১৭৬ জনের মৃত্যু কোন সফল ব্যবস্থাপনা না করতে পারা নিয়ে আনুতিনের বিরুদ্ধে প্রবল সমালোচনা তৈরি হয়। এমনকি তার বিরুদ্ধে পার্লামেন্টে অনাস্থা প্রস্তাব আনার প্রস্তুতিও চলছিল বলে জানা যায়। বিশ্লেষকদের মতে, এই সম্ভাব্য অনাস্থা ভোটকে ঠেকাতেই তিনি সংসদ ভাঙার পরামর্শ দিয়েছেন।

এদিকে সংসদ ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত আসে এমন সময়ে, যখন কম্বোডিয়ার সেনাবাহিনীর সঙ্গে থাই বাহিনীর চারদিন ধরে সংঘর্ষ চলছে। এতে দুই দেশের অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছে এবং লাখো মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে।

ডিক্রিতে আনুতিন আরও বলেন, সাম্প্রতিক ঘটনাবলি দেশের জন্য জরুরি অবস্থা তৈরি করেছে এবং এমন পরিস্থিতিতে অস্থায়ী অনির্বাচিত সরকারের পক্ষে স্থিতিশীল শাসন পরিচালনা কঠিন। তাই দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন।

উল্লেখ্য, নৈতিকতা লঙ্ঘনের অভিযোগে ২৯ আগস্ট পদত্যাগ করেছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী পায়েতংতার্ন সিনাওয়াত্রা। মাত্র ৩৯ বছর বয়সে তিনি দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে কমবয়সী প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। তার বিদায়ের পর পার্লামেন্টের ভোটে আনুতিন চার্নভিরাকুল প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন—যেখানে তাকে সমর্থন দিয়েছিল প্রধান বিরোধী দল পিপলস পার্টি।

ক্ষমতায় এসে আনুতিন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন চার মাসের মধ্যে সংবিধান সংস্কার করে নির্বাচন আয়োজনের প্রক্রিয়া শুরু করবেন। কিন্তু পরে পিপলস পার্টির সঙ্গে তার সম্পর্ক খারাপ হয় এবং শুক্রবার তারা অনাস্থা প্রস্তাব তোলার সিদ্ধান্ত নেয়। তার আগের দিনই রাজাকে সংসদ ভাঙার পরামর্শ দেন আনুতিন।

 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর