[email protected] সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫
৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, পালাচ্ছে হাজারো বাসিন্দা

প্রতিদিনের বাংলা ডেস্ক

প্রকাশিত: ৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ৬:৪১ পিএম

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সীমান্ত এলাকায় আবারও সহিংসতা

ছড়িয়ে পড়েছে। সোমবার দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে গোলাগুলিতে পাঁচজন নিহত হওয়ার পর সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলো থেকে হাজারো মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে স্থানত্যাগ শুরু করেছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, সংঘর্ষের জন্য দুই দেশই পরস্পরকে দায়ী করছে। গত জুলাইয়ে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর পর এটিই সবচেয়ে বড় উত্তেজনা।

থাই প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল দাবি করেছেন, থাইল্যান্ড সংঘর্ষ চায় না; কিন্তু সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতেই হবে। অন্যদিকে কম্বোডিয়ার সাবেক নেতা হুন সেন অভিযোগ করেছেন—থাই সেনারা কোনো উসকানি ছাড়াই হামলা চালিয়েছে।

গত মে থেকে দুই দেশের সম্পর্ক দ্রুত অবনতি ঘটছে। এই সময়ের মধ্যে বিভিন্ন ঘটনায় ৪০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। পরস্পরের ওপর আমদানি নিষেধাজ্ঞা ও ভ্রমণ সীমাবদ্ধতাও আরোপ করেছে উভয় দেশ।

থাই সেনাবাহিনীর দাবি, কম্বোডিয়ার দিক থেকে উবন রাচাথানি প্রদেশে ছোড়া গোলার জবাব দিতে হয়েছে তাদের। তারা অভিযোগ করেছে, কম্বোডিয়া বিতর্কিত সীমান্ত এলাকায় বিমান হামলাও করেছে। তবে কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, বরং থাইল্যান্ডই প্রথম তাদের প্রেহ ভিহিয়ার প্রদেশে আক্রমণ চালিয়েছে।

সোমবারের ঘটনায় এক থাই সৈন্য ও কম্বোডিয়ার চার বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। আরও অন্তত ১২ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

উত্তেজনার কারণে থাইল্যান্ড সীমান্তের পাঁচ প্রদেশের প্রায় ৬৫০টি স্কুল বন্ধ ঘোষণা করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে অভিভাবকেরা দ্রুত স্কুলে গিয়ে সন্তানদের নিয়ে যাচ্ছেন, ফলে এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।

দুই দেশের শতবর্ষী সীমান্ত বিরোধ গত ২৪ জুলাই আরও তীব্র আকার ধারণ করে, যখন কম্বোডিয়ার রকেট হামলার জবাবে থাইল্যান্ড বিমান হামলা চালায়। পরে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের মধ্যস্থতায় জরুরি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় দুই দেশ। অক্টোবরে মালয়েশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও তাদের আনুষ্ঠানিক যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে উপস্থিত ছিলেন।

তবে চুক্তি সইয়ের মাত্র দুই সপ্তাহ পর সীমান্তে স্থলমাইন বিস্ফোরণে দুই থাই সৈন্য আহত হলে ব্যাংকক চুক্তির বাস্তবায়ন স্থগিত করে। কম্বোডিয়া অবশ্য এখনো দাবি করছে—তারা যুদ্ধবিরতিতে সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর