গাজার রাফা এলাকায় ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গগুলোর ভেতর কয়েক ডজন
ফিলিস্তিনি যোদ্ধা আটকে রয়েছেন বলে জানা গেছে। হামাসের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে তাদের সঙ্গে বাহিনীর অন্য সদস্যদের কোনো যোগাযোগ নেই এবং সুড়ঙ্গের ভেতরে থাকা এসব যোদ্ধার কাছে খাদ্য ও পানির সরবরাহও বন্ধ হয়ে গেছে।
আলজাজিরা শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) ফিলিস্তিনের একটি সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, রাফা অঞ্চলে আনুমানিক ৬০ থেকে ৮০ জন যোদ্ধা আটকা অবস্থায় আছেন।
গত মাসে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে হওয়া যুদ্ধবিরতির সময় রাফার নিয়ন্ত্রণ ইসরায়েলি সেনাদের কাছে থেকেই যায়।
হামাস জানিয়েছে, সুড়ঙ্গগুলোয় অবস্থানরত সদস্যদের সঙ্গে গত কয়েক মাস ধরেই যোগাযোগ সম্ভব হচ্ছে না। খাদ্য ও পানির সংকট এতটাই গভীর যে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে বলে দাবি করছে তারা।
সূত্র আরও জানায়, আটকা থাকা কিছু যোদ্ধা বের হওয়ার চেষ্টা করলে তাদের লক্ষ্য করে ইসরায়েলি বাহিনী থেকে বিমান হামলা চালানো হয়। এতে অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
ইসরায়েল জানিয়েছে, সুড়ঙ্গে থাকা যোদ্ধাদের আত্মসমর্পণ করতে হবে, এরপর তাদের আটক করা হবে। তবে হামাস বলছে, তাদের সদস্যরা আত্মসমর্পণ করবে না।
এর আগে বুধবার হামাস প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করে যে তাদের যোদ্ধারা রাফার সুড়ঙ্গে আটকা পড়ে আছেন। সেই সময় গোষ্ঠীটি আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর মাধ্যমে নিরাপদ প্রস্থান নিশ্চিত করার দাবি জানায়।
তারা এক বিবৃতিতে জানায়, “আমাদের যোদ্ধাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব ইসরায়েলের।” পাশাপাশি তারা মধ্যস্থতাকারীদের প্রতি আহ্বান জানায় যাতে আটকে থাকা সদস্যরা পরিবারে ফিরতে পারে তা নিশ্চিত করা হয়।
আন্তর্জাতিক পক্ষগুলোর মধ্যস্থতায় নিরাপদভাবে বের করে আনার কিছু উদ্যোগ নেওয়া হলেও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বিরোধিতার কারণে তা সফল হয়নি। ইসরায়েলি অবস্থান হলো—যোদ্ধাদের আগে আত্মসমর্পণ করতে হবে।
এসআর
মন্তব্য করুন: