কয়েক বছর পর আবারও যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের মেয়রের সরকারি বাসভবন ‘গ্রেসি ম্যানশন’-এ ফিরছেন এক ‘ফার্স্ট লেডি’।
নিউইয়র্কের নবনির্বাচিত মেয়র জোহারান মামদানির স্ত্রী, ২৮ বছর বয়সী রামা দুয়াজি এবার উঠছেন মেয়রের সরকারি বাসভবন ‘গ্রেসি ম্যানশন’-এ। দীর্ঘ কয়েক বছর পর আবারও ওই ঐতিহাসিক ভবনে ফিরছেন এক ‘ফার্স্ট লেডি’। সাধারণত প্রচারের আড়ালে থাকলেও মামদানির বিজয়ের রাতে স্ত্রী রামা দুয়াজি ও বাবা-মাকে সঙ্গে নিয়ে মঞ্চে ওঠেন তিনি।
সিরীয় বংশোদ্ভূত এই মার্কিন শিল্পী ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান এবং চলতি বছরের শুরুতে নিউইয়র্ক সিটি হলে জোহারান মামদানিকে বিয়ে করেন। নির্বাচনী প্রচারণায় রামার ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ—তার পরিকল্পনাতেই তৈরি হয় হলুদ, কমলা ও নীল রঙের সাহসী প্রচারণা পোস্টার ও প্রতীক। তিনি স্বামীর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উপস্থিতি ও প্রচার কৌশল তৈরিতেও সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন।
রামা দুয়াজি নিউইয়র্কের ‘স্কুল অব ভিজ্যুয়াল আর্টস’ থেকে ইলাস্ট্রেশনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তার কাজ প্রকাশিত হয়েছে দ্য নিউ ইয়র্কার, দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট, বিবিসি, অ্যাপল, স্পটিফাই, ভাইস এবং লন্ডনের টেট মডার্নে।
তার শিল্পকর্মে সামাজিক ও রাজনৈতিক বার্তা, বিশেষ করে ফিলিস্তিন সংক্রান্ত মানবাধিকার ইস্যু প্রাধান্য পায়। ইসরায়েলি আগ্রাসন ও যুক্তরাষ্ট্রের নীতির সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি তার সৃষ্টিকর্মে ফুটে ওঠে। ইনস্টাগ্রামে তার অনুসারীর সংখ্যা প্রায় ২ লাখ ৩৫ হাজার, যেখানে তিনি নিয়মিত নিজের শিল্প, মতামত ও ব্যক্তিজীবনের মুহূর্ত ভাগ করে নেন।
মঙ্গলবার জোহারান মামদানির জয়ের মধ্য দিয়ে রামা দুয়াজিও ইতিহাস গড়েছেন—তিনি নিউইয়র্ক সিটির প্রথম ‘জেন-জি’ ফার্স্ট লেডি।
এসআর
মন্তব্য করুন: