[email protected] বৃহঃস্পতিবার, ৭ আগস্ট ২০২৫
২২ শ্রাবণ ১৪৩২

আল-আকসা মসজিদ দখলে নেওয়ার হুমকি ইসরায়েলি মন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৪ আগষ্ট ২০২৫ ১১:২৪ পিএম

সংগৃহীত ছবি

ইসলামের অন্যতম পবিত্র স্থান, জেরুজালেমের মসজিদুল আকসা—যা মুসলমানদের প্রথম কিবলা এবং মক্কা-মদিনার পর তৃতীয় পবিত্রতম স্থান হিসেবে বিবেচিত—সেটিকে কেন্দ্র করে আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে আন্তর্জাতিক অঙ্গন।

সম্প্রতি ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ এক উসকানিমূলক ঘোষণায় বলেন, আল-আকসা মসজিদ ও পশ্চিম তীর এখন থেকে ইসরায়েলের ‘পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে’। রোববার (৩ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ (পূর্বতন টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে তিনি লেখেন,

“তিসা বা’আভ উপলক্ষে, দ্বিতীয় টেম্পল ধ্বংসের দুই হাজার বছর পর আজ পশ্চিম দেয়াল এবং আল-আকসা পুরোপুরি ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে।”

তিনি আরও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে জানান,

“ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যত প্রতিবাদই হোক না কেন, আমরা জেরুজালেম, পশ্চিম দেয়াল ও আল-আকসায় আমাদের কর্তৃত্ব আরও জোরালো করব।”

এর আগে রোববার সকালেই কট্টরপন্থি ইসরায়েলি জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন গাভির মুসলমানদের অন্যতম পবিত্র এই স্থানে প্রবেশ করে প্রার্থনা করেন—যেখানে ইহুদি উপাসনা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। তার এই পদক্ষেপ বিশ্ব মুসলিম সমাজে তীব্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয়।

বিশেষ করে সৌদি আরব এই ঘটনাকে “উসকানিমূলক ও পবিত্রতার চরম অবমাননা” আখ্যা দিয়ে কঠোর ভাষায় নিন্দা জানায়। দেশটি জানায়, “এটি শুধু ফিলিস্তিনি মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত নয়, বরং পুরো অঞ্চলের স্থিতিশীলতাকেই হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে।”

বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরায়েলের সাম্প্রতিক এই অবস্থান এখন কেবল ধর্মীয় বা রাজনৈতিক ইস্যু নয়—বরং এটি মুসলিম জাতির আত্মপরিচয় ও ঐতিহ্যের ওপর সরাসরি আঘাত।

প্রসঙ্গত, মসজিদুল আকসা কেবল একটি ধর্মীয় স্থাপনা নয়, বরং এটি মুসলিম উম্মাহর আত্মমর্যাদা ও ঐক্যের প্রতীক। আর এখন সেটিই দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর দমননীতির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।

ফিলিস্তিন ইতোমধ্যে এক রক্তাক্ত ভূখণ্ডে রূপ নিয়েছে। নির্বিচারে বিমান হামলা, ভূমি দখল এবং ধর্মীয় নিপীড়নের মাধ্যমে প্রতিদিনই সেখানে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের রক্ত ঝরছে।

এই প্রেক্ষাপটে আল-আকসার ওপর ইসরায়েলের দাবি শুধু ফিলিস্তিন নয়, বরং গোটা মুসলিম বিশ্বের জন্যই এক গভীর উদ্বেগের বার্তা বহন করছে।

বিশ্লেষকদের মতে, আল-আকসা এখন আর কেবল একটি মসজিদ নয়—এটি মুসলিম জাতির অস্তিত্ব ও আত্মপরিচয়ের সংকটের প্রতীক হয়ে উঠেছে।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর