দীর্ঘ প্রশাসনিক জটিলতার পর মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার আবারও বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য উন্মুক্ত হতে যাচ্ছে।
১ আগস্ট শুক্রবার কুয়ালালামপুর বাংলাদেশ হাইকমিশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বোয়েসেল (BOESL)-এর মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় কনস্ট্রাকশন ও ট্যুরিজম সেক্টরে বাংলাদেশি কর্মীদের নিয়োগে সম্মতি দিয়েছে দেশটির সরকার।
২০২৩ সালের ৩১ মে’র মধ্যে যারা যেতে পারেননি, তাদের মধ্য থেকে নির্বাচিত কর্মীদের এবার নিয়োগ দেওয়া হবে। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ডিমান্ড লেটার সত্যায়ন শুরু হয়েছে এবং ফরেন ওয়ার্কার্স সেন্ট্রালাইজড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (FWCMS)-এর অনলাইন পোর্টালে নির্ধারিত কাগজপত্র দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের মধ্যে রয়েছে—কোম্পানির অনুমোদনপত্র, ব্যাংক ব্যালান্স স্টেটমেন্ট (১০০ কর্মীর জন্য কমপক্ষে ২ লাখ রিংগিত), বেতন স্লিপ, কর্মীদের তথ্য, আবাসন সংক্রান্ত সার্টিফিকেট, নিয়োগপত্র, বোয়েসেল চুক্তি, কোটার অনুমোদনপত্র ইত্যাদি।
বাংলাদেশ হাইকমিশন অনলাইনে জমাকৃত কাগজপত্রের মূল কপি ও এক সেট ফটোকপি জমা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
এদিকে, বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে নতুন সমঝোতা স্মারক (MoU) অনুযায়ী, কেবল অনুমোদিত এজেন্সির মাধ্যমে ‘সিলেক্টিভ রিক্রুটমেন্ট’ মডেলে কর্মী পাঠানো হবে। এই প্রক্রিয়ায় নিয়োগ খরচ নির্ধারণ, ভিসা-মেডিকেল প্রক্রিয়া নির্দিষ্ট সময়সীমায় সম্পন্ন করা ও নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের যাচাই বাধ্যতামূলক করা হবে।
বাংলাদেশ সরকার মালয়েশিয়ায় কর্মরত শ্রমিকদের শোষণ সংক্রান্ত অভিযোগ তদন্ত বন্ধে সম্মত হয়েছে বলে জানা গেছে। আগামী সপ্তাহে একটি যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শ্রমবাজার ধরে রাখতে হলে নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও দালালমুক্ত ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ৫ লাখ কর্মী পাঠানোর লক্ষ্য থাকলেও অনিয়ম ও কোটা বাণিজ্যের অভিযোগে তা স্থগিত হয়।
এসআর
মন্তব্য করুন: