২ আষাঢ় ১৪৩২
প্রথমবার ঢাকায় জাতিসংঘের গুমবিষয়ক কমিটি
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সফরে এসেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের গুমবিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপের (WGEID) দুই সদস্য।
রোববার (১৫ জুন) চার দিনের সফরে ঢাকায় পৌঁছান গ্রুপের ভাইস চেয়ার গ্রাজিনা বারানোস্কা ও আনা লোরেনা ডেলগাদিলো পেরেজ।
প্রায় এক দশক ধরে বাংলাদেশ সফরের জন্য অনুরোধ জানিয়ে আসছিল এই ওয়ার্কিং গ্রুপ। ২০১৩ সালের মার্চে প্রথম চিঠি পাঠানো হয়, তবে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার সেই অনুরোধে সাড়া দেয়নি। সর্বশেষ ২০২০ সালের এপ্রিলে অনুমতি চাওয়া হলেও তা প্রত্যাখ্যাত হয়।
২০২৪ সালের আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার এই সফরের অনুমতি দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় জাতিসংঘের গুমবিষয়ক কমিটির এই প্রথম বাংলাদেশে আগমন।
সূত্র জানিয়েছে, সফরকালে প্রতিনিধি দল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন উপদেষ্টা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গুমবিষয়ক কমিশন এবং গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের সঙ্গে বৈঠক করবেন। তবে তদন্ত নয়, বরং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও নীতিগত সুপারিশ করাই এই সফরের মূল উদ্দেশ্য।
এই সফরের আগে বাংলাদেশ জাতিসংঘের গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদে সই করেছে। ২০০৬ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে গৃহীত এ সনদে ২০২৫ সালের আগস্টে ৭৬তম দেশ হিসেবে চুক্তিতে যুক্ত হয় বাংলাদেশ।
জাতিসংঘের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে এখনও ৭০টি গুমের অভিযোগ অনিষ্পন্ন রয়েছে। মোট ৮৮ জনের বিষয়ে তথ্য চাওয়া হলে, ৫ জন জীবিত অবস্থায় আটক এবং ১০ জন মুক্ত রয়েছেন বলে নিশ্চিত করা হয়।
দীর্ঘদিনের আন্তর্জাতিক চাপ সত্ত্বেও আগের সরকার এ সনদে যুক্ত হয়নি। দক্ষিণ এশিয়ায় কেবল শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ এই সনদকে পূর্ণাঙ্গভাবে নিজেদের আইনে অন্তর্ভুক্ত করেছে; ভারত কেবল সই করেছে, তবে অনুমোদন দেয়নি।
এসআর
মন্তব্য করুন: