[email protected] বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
১৬ বৈশাখ ১৪৩২

ভূমিকম্পে মাটি ফুঁড়ে বেরিয়ে এলো রাজপ্রাসাদ! মিয়ানমারে চাঞ্চল্য

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০ এপ্রিল ২০২৫ ৯:৩৯ পিএম

ফাইল  ছবি

সম্প্রতি ৭.৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল মিয়ানমার।

নিশ্চয়! নিচে সংবাদের একটি পরিমার্জিত ও পেশাদার । ভূকম্পনের তীব্রতা এতটাই প্রবল ছিল যে এর প্রভাব অনুভূত হয়েছে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক এবং ভারতের কলকাতাতেও। তবে এই ভূমিকম্প শুধু কম্পনই আনেনি, সাথে এনেছে এক ঐতিহাসিক চমক।

ভূমিকম্পের জেরে মাটির নিচ থেকে উদ্ঘাটিত হয়েছে একটি প্রাচীন সৌধ, যা দেখে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, এটি কোনো এক রাজপ্রাসাদ বা প্রাচীন জলসৌধ—যাকে ‘ওয়াটার প্যালেস’ বলা হয়—এর অংশ হতে পারে।

মধ্য মিয়ানমারের যে স্থানে এই সৌধটির অংশবিশেষ প্রকাশ পেয়েছে, সেখানে দীর্ঘদিন ধরে ভূপ্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য পর্যবেক্ষণ করে এমন ধারণাই করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে সৌধটির কেবল সিঁড়ি দৃশ্যমান ছিল, তবে সাম্প্রতিক ভূমিকম্পের পর ধীরে ধীরে ইটের গঠন, রেলিং এবং কাঠামোর অবশিষ্টাংশ দৃশ্যমান হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সৌধটির নির্মাণশৈলীতে মিয়ানমারের ঐতিহ্যবাহী কাঠের স্থাপত্যের ছাপ রয়েছে—যা সাধারণত মঠ বা মঠবিহার (মনাস্ট্রি) নির্মাণে দেখা যায়।

এই আবিষ্কার অনেকটাই ভারতের রাজস্থানের বিখ্যাত ‘জলমহল’ অথবা ত্রিপুরার ‘নীরমহল’-এর সঙ্গে তুলনীয়। উভয় সৌধই পানির ওপর ভাসমান রাজপ্রাসাদ হিসেবে পরিচিত, যা একসময় রাজাদের বিশ্রাম, শিকার বা বিনোদনের স্থান ছিল।

বিশেষজ্ঞদের একটি বড় অংশের ধারণা, newly-discovered সৌধটি কোনবঙ রাজবংশ (১৭৫২–১৮৮৫) শাসনামলে নির্মিত হয়েছিল। ব্রিটিশ শাসনের পূর্ববর্তী এই যুগে মিয়ানমারে রাজশাসনের এক গৌরবময় ইতিহাস রয়েছে, যার প্রতিফলন হয়তো এই সৌধে খুঁজে পাওয়া যাবে।

এই প্রাচীন স্থাপত্য মিয়ানমারের ইতিহাসে একটি নতুন জানালা খুলে দিতে পারে বলে মনে করছেন গবেষকরা। সৌধটির আরও খনন ও সংরক্ষণ কার্যক্রম শুরু হলে হয়তো প্রকাশ পাবে ইতিহাসের বহু অজানা অধ্যায়।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর