দেশের সীমান্ত পরিস্থিতি মোটামুটি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের সঙ্গে বৈঠকে এ মন্তব্য করেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, আগামী মাসে দিল্লিতে বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, "বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর কোনো নির্যাতন হচ্ছে না। ভারতীয় মিডিয়ার অপপ্রচারের বিপরীতে, ৫ আগস্টের পর কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে যা রাজনৈতিক, ধর্মীয় নয়।"
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রকে আরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী পুনর্বাসনে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, "রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা ও পুনর্বাসনে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্ব দিয়েছে এবং ইতোমধ্যে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক রোহিঙ্গাকে পুনর্বাসন করেছে।"
জবাবে চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স জানান, যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গা পুনর্বাসন ও উন্নয়নে বৃহত্তম দাতা। ইউএসএইড বাংলাদেশের স্থানীয় এনজিওগুলোর সঙ্গে কাজ করে রোহিঙ্গাদের জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ১৭ হাজার রোহিঙ্গাকে যুক্তরাষ্ট্রে পুনর্বাসন করা হয়েছে।
বৈঠকে সন্ত্রাস দমন, সীমান্ত পরিস্থিতি, সংখ্যালঘু ইস্যু, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধি, পুলিশ সংস্কার, কৃষি খাতে সহযোগিতা, এবং নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রের প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জাম সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে বলেন, "পুলিশ এবং অন্যান্য বাহিনীর সামর্থ্য বৃদ্ধিতে যুক্তরাষ্ট্রের অবদান প্রশংসনীয়।"
চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স জানান, যুক্তরাষ্ট্র থেকে শিক্ষার্থী ভিসার সংখ্যা ৩০ শতাংশ বেড়েছে। তিনি প্রশিক্ষিত কর্মকর্তাদের দেশে ফেরার পর কার্যকর ভূমিকা রাখার ওপর জোর দেন।
তিনি বলেন, "নিরাপত্তা ও সন্ত্রাস দমনে উভয় দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ সহযোগিতা বিদ্যমান। তথ্য বিনিময় ও সংশ্লিষ্ট তথ্যভাণ্ডার হালনাগাদের মাধ্যমে এ সহযোগিতা আরও জোরদার হবে।"
বৈঠক শেষে উভয় পক্ষ পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর অঙ্গীকার করেন।
এসআর
মন্তব্য করুন: