চুল পড়ার সমস্যা নারী-পুরুষ সবার মধ্যেই দেখা যায়।
ঋতু পরিবর্তনের সময় এ সমস্যা কিছুটা বাড়লেও অনেকের ক্ষেত্রে বংশগত বা হরমোনজনিত কারণে সারা বছরই চুল ঝরতে থাকে
পুষ্টিবিদদের মতে, দৈনন্দিন কিছু ভুল অভ্যাস ও অনিয়মিত জীবনযাপনও চুল পড়ার অন্যতম কারণ। শুরুতে এসব বিষয় চোখে না পড়লেও ধীরে ধীরে তা বড় সমস্যায় রূপ নেয়।
জেনে নিন প্রতিদিনের এমন ৭টি ভুল, যেগুলোর কারণে চুল পড়া বাড়তে পারে—
অনেকে ওজন কমানো বা ফ্যাশনের অংশ হিসেবে নিয়মিত খাবার বাদ দেন। এতে শরীর প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায় না। প্রোটিন, আয়রন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও ভিটামিনের ঘাটতিতে চুল দুর্বল, শুষ্ক ও ভঙ্গুর হয়ে পড়ে, ফলে চুল ঝরতে শুরু করে।
ক্ষুধা লাগলে চিপস, ভাজাপোড়া বা অতিরিক্ত মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়ার অভ্যাস চুলের জন্য ক্ষতিকর। পাশাপাশি পর্যাপ্ত পানি না পান করলেও চুলের স্বাস্থ্য নষ্ট হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এর নেতিবাচক প্রভাব স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
দীর্ঘদিন মানসিক চাপে থাকলে শরীরে এমন হরমোন নিঃসৃত হয়, যা চুলের স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। ফলে হঠাৎ করেই চুল পড়া বেড়ে যেতে পারে। মানসিক চাপ কমাতে প্রতিদিন কিছু সময় নিজের জন্য রাখা, হাঁটাহাঁটি করা, গভীর শ্বাস নেওয়া বা প্রিয়জনের সঙ্গে কথা বলা উপকারী।
হেয়ার ড্রায়ার, কার্লার, স্ট্রেইটনারের অতিরিক্ত ব্যবহার চুলকে শুষ্ক ও দুর্বল করে। ব্লিচ, কালার বা পার্মের মতো রাসায়নিক ট্রিটমেন্ট চুলের গঠন নষ্ট করে, ফলে চুল সহজেই ভেঙে যায় ও পড়ে।
প্রতিদিন শ্যাম্পু করলে চুলের প্রাকৃতিক তেল উঠে যায়। আবার অনেকদিন না ধুলে স্কাল্পে ময়লা ও তেল জমে চুলের গোড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই ২–৩ দিন পরপর হালকা শ্যাম্পু ব্যবহার করাই সবচেয়ে ভালো।
ভেজা চুল খুব দুর্বল থাকে। এ অবস্থায় ঘুমালে চুল সহজেই ভেঙে যায়। এছাড়া নিয়মিত শক্ত করে চুল বাঁধলে গোড়ায় টান পড়ে, যা ট্র্যাকশন অ্যালোপেশিয়ার কারণ হতে পারে।
শরীরে পানির ঘাটতি হলে চুল রুক্ষ ও প্রাণহীন হয়ে পড়ে। পাশাপাশি কম বা অনিয়মিত ঘুম হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে, ফলে চুল পড়া বাড়ে। প্রতিদিন অন্তত ৭–৮ ঘণ্টা ঘুম ও পর্যাপ্ত পানি পান চুলের সুস্থতার জন্য জরুরি।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
এসআর
মন্তব্য করুন: