কিছু খাবার সাধারণভাবে স্বাস্থ্যকর হলেও, অতিরিক্ত বা নিয়মিত খেলে
কিডনির ওপর বাড়তি চাপ পড়ে। বিশেষ করে যাদের কিডনি সমস্যা, ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ আছে তাদের আরও সতর্ক থাকতে হয়।
১. অতিরিক্ত প্রোটিন (চর্বিহীন মাংস, ডিম, মাছ, প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট)
বেশি প্রোটিন ভাঙার সময় বর্জ্য তৈরি হয়, যা ছেঁকে ফেলা কিডনির জন্য কঠিন হয়ে পড়ে।
কিডনি রোগে আক্রান্তদের জন্য অতিরিক্ত প্রোটিন ক্ষতিকর।
২. পালং শাক, বিট, মিষ্টি আলু
উপকারী হলেও এতে অক্সালেট বেশি থাকে।
অক্সালেট → কিডনি স্টোনের ঝুঁকি বাড়ায়।
৩. কলা, কমলা, অ্যাভোকাডো, কিউই—উচ্চ পটাসিয়ামযুক্ত ফল
কিডনি দুর্বল হলে অতিরিক্ত পটাসিয়াম শরীরে জমে যায়।
এতে হৃদস্পন্দনের সমস্যা হতে পারে।
৪. ডাবের পানি
হাইড্রেটিং হলেও পটাসিয়াম অনেক বেশি।
প্রতিদিন বেশি পরিমাণে পান করলে সমস্যা (বিশেষত কিডনি রোগ বা BP/ডায়াবেটিস থাকলে)।
৫. দুধ, দই, পনির (ডেইরি প্রোডাক্ট)
ক্যালসিয়াম ও প্রোটিনের ভালো উৎস কিন্তু ফসফরাস বেশি।
কিডনি দুর্বল হলে এই ফসফরাস ফিল্টার হয় না → হাড় দুর্বল হয়, রক্তনালী ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
৬. বাদাম ও বীজ
পুষ্টিকর হলেও অক্সালেট এবং ফসফরাস বেশি থাকে।
যাদের কিডনি স্টোন বা কিডনি ডিজিজ আছে, তাদের জন্য ঝুঁকি।
তুলনামূলক কম ঝুঁকিপূর্ণ: সূর্যমুখী বীজ, কুমড়ার বীজ, আখরোট।
৭. আচার, কিমচি, ফারমেন্টেড খাবার
উপকারী ব্যাকটেরিয়া থাকলেও লবণের পরিমাণ অত্যন্ত বেশি।
লবণ কিডনির ওপর চাপ বাড়ায়, রক্তচাপও বাড়ায়।
এসআর
মন্তব্য করুন: