শীত এলেই তাপমাত্রা কমে, বাড়ে সর্দি-কাশির প্রকোপ। এসময় শরীর
উষ্ণ ও সুস্থ রাখতে পুষ্টিকর খাবার অত্যন্ত জরুরি। পেয়ারা এমনই একটি ফল—যা সহজলভ্য, পুষ্টিসমৃদ্ধ এবং শীতের মৌসুমে স্বাস্থ্যের জন্য বিশেষভাবে উপকারী। এতে থাকা ভিটামিন, খনিজ ও খাদ্যতন্তু শরীরকে ভেতর থেকে শক্তি জোগায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। চলুন দেখে নেওয়া যাক, এই সময়ে পেয়ারা খাওয়ার ৫টি বড় কারণ—
১. রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়
পেয়ারা ভিটামিন সি–তে ভরপুর। একেকটি পেয়ারায় কমলার তুলনায়ও বেশি ভিটামিন সি পাওয়া যায়। পাশাপাশি এতে লাইকোপেন ও নানা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা দেহকে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। শীতকালে সর্দি-জ্বর-ভাইরাল সংক্রমণ বাড়ে, আর প্রতিদিন পেয়ারা খেলে স্বাভাবিকভাবেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়।
২. সর্দি ও কাশি কমাতে সহায়ক
ঠান্ডার সময় নাক বন্ধ, কাশি ও গলার অস্বস্তি খুবই সাধারণ। পাকা বা আধাপাকা পেয়ারা শ্বাসনালীকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে এবং কফ কমাতে ভূমিকা রাখে। এটি গলা ও ফুসফুসকে আরাম দেয় এবং ঠান্ডাজনিত উপসর্গ কমাতে সহায়ক।
৩. হজম ক্ষমতা উন্নত করে
শীতে পানি কম খাওয়ার কারণে হজম প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যায়। পেয়ারা ফাইবারসমৃদ্ধ হওয়ায় অন্ত্রের গতি স্বাভাবিক রাখে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং সামগ্রিক হজমব্যবস্থাকে ভালো রাখে। এতে অন্ত্র সুস্থ থাকে এবং খাবার থেকে পুষ্টি গ্রহণ বাড়ে।
৪. ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
শীতের খাবার সাধারণত ক্যালোরি বেশি, ফলে ওজন বাড়ার আশঙ্কাও থাকে। পেয়ারা কম ক্যালোরিযুক্ত এক ফল, কিন্তু পেট ভরায় দ্রুত। এর প্রাকৃতিক মিষ্টতা খিদে কমায়, আবার রক্তে শর্করার মাত্রাও দ্রুত বাড়ায় না। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে পেয়ারা হতে পারে দারুণ বিকল্প।
৫. হৃদযন্ত্র রক্ষায় কার্যকর
শীতে অনেকেই লবণ ও চর্বিযুক্ত খাবার বেশি খান। পেয়ারা পটাসিয়ামে সমৃদ্ধ—যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। একই সঙ্গে এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও পুষ্টি উপাদান খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) কমায় এবং ভালো কোলেস্টেরল (HDL) বাড়ায়, যা হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী।
এসআর
মন্তব্য করুন: