দেশে সম্প্রতি চিহ্নিত এইচএমপি ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।
তিনি বলেন, "এই ভাইরাস নতুন কিছু নয়। অতীতেও এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটেছে, মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন এবং চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন। আমরা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছি, তাই চিন্তার কারণ নেই।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা জানান, ভাইরাসটি চীনে প্রথম সনাক্ত হলেও সেখানে এটি বড় কোনো সমস্যা সৃষ্টি করেনি।
বাংলাদেশের বিমানবন্দরগুলোতে ভাইরাস মোকাবিলায় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে এটি কোভিড-১৯-এর মতো কোনো সংকট সৃষ্টি করবে না বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি এই ভাইরাসে এক ব্যক্তির মৃত্যুর বিষয়ে তিনি বলেন, "তিনি দীর্ঘ এক মাস ধরে অসুস্থ ছিলেন। তাঁর শরীরে এইচএমপি ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেলেও নিশ্চিত নয় যে এটাই মৃত্যুর কারণ। তাঁকে সেবা দেওয়া ব্যক্তিরা সুস্থ আছেন।"
একদিনের সফরে শনিবার সিলেটের বিভিন্ন হাসপাতাল পরিদর্শন করেন নূরজাহান বেগম। তিনি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বর্নি গ্রামের একটি কমিউনিটি ক্লিনিকে স্থানীয়দের সঙ্গে চিকিৎসা সেবার বিষয়ে কথা বলেন।
পরে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে চিকিৎসক, রোগী ও তাঁদের স্বজনদের সঙ্গে সময় কাটান।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ভঙ্গুর বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, "দেশে প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক ও নার্সের অভাব রয়েছে।
ক্যান্সার ও শিশু বিশেষজ্ঞদের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। চাহিদা মূল্যায়নের ঘাটতি থাকায় স্বাস্থ্য খাতে কাঙ্ক্ষিত উন্নতি হয়নি।"
তিনি আরও বলেন, "ভালো চিকিৎসক তৈরিতে মেডিকেল কলেজগুলোতে আরও উন্নয়ন প্রয়োজন। তবুও চিকিৎসকরা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।"
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "জনগণ যদি বলে আমরা চলে যাই, আমরা চলে যাবো। আমাদের দায়িত্ব জনগণ দিয়েছে, এবং তাদের চাহিদা অনুযায়ী আমরা কাজ করছি।
আগামী ডিসেম্বরে নির্বাচন দেওয়ার চেষ্টা চলছে। তবে সংস্কার প্রয়োজন হলে তা জুনের মধ্যেও হতে পারে।
পরে তিনি সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় তিনি আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসকদের অবদানের প্রশংসা করেন।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের মতে, সঠিক পরিকল্পনা ও চাহিদা মূল্যায়নের মাধ্যমে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নত করা সম্ভব।
পাশাপাশি তিনি জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান, তবে আতঙ্কিত না হয়ে স্বাস্থ্য নির্দেশিকা মেনে চলার পরামর্শ দেন।
এসআর
মন্তব্য করুন: