[email protected] সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫
৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

নিয়ম বহির্ভূতভাবে ভিকারুননিসায় ১১ শিক্ষককে স্থায়ীকরণ-নেপথ্যে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ

সাইদুর রহমান

প্রকাশিত: ৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ১:৪৭ পিএম

ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাজেদা বেগম

ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজে এডহক কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও ১৩ জন অস্থায়ী শিক্ষকের মধ্যে ১১ জনকে স্থায়ীকরণের অভিযোগ উঠেছে।

প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক ও অভিভাবকদের একাংশ দাবি করছেন, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাজেদা বেগমের উদ্যোগে এই স্থায়ীকরণ করা হয়েছে, যা নিয়োগবিধির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

প্রতিষ্ঠানের নিয়ম অনুযায়ী, এডহক কমিটির মেয়াদোত্তীর্ণ অবস্থায় নতুন নিয়োগ বা চাকরি স্থায়ীকরণের কোনো ক্ষমতা নেই। এ কারণে স্থায়ীকরণের এই সিদ্ধান্তকে নিয়ম-বহির্ভূত এবং প্রশ্নবিদ্ধ হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

প্রতিষ্ঠান সূত্রের দাবি, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন সময় অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় দীর্ঘ সাত বছরেরও বেশি সময় ধরে ১৩ জন অস্থায়ী শিক্ষকের চাকরি স্থায়ীকরণ করা সম্ভব হয়নি। তবে সম্প্রতি অভিযোগ উঠেছে, আর্থিক লেনদেনের ভিত্তিতে ১১ জনকে স্থায়ী করা হয়। অভিযোগকারীদের ভাষ্য, অর্থ আদায় সম্ভব না হওয়ায় দুইজনকে স্থায়ীকরণের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। এসব অভিযোগের স্বাধীন যাচাই এখনও পাওয়া যায়নি।

অভিভাবক ও শিক্ষকরা আরও অভিযোগ করেন, পূর্বের বিভিন্ন অনিয়ম আড়াল করার উদ্দেশ্যে স্থায়ীকৃত শিক্ষকদেরকে বিভিন্ন সময়ে বিভ্রান্তিকর বা প্রভাবিত সাক্ষ্য দিতে ব্যবহার করা হয়েছে। এ বিষয়ে একটি তদন্ত প্রতিবেদনে ১১ জন শিক্ষকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়মের উল্লেখ রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।

স্থায়ীকরণপ্রাপ্ত ১১ জন শিক্ষক হলেন— বদরুন নাহার (বাংলা), সুমন ফকির (বাংলা), খন্দকার ফয়জুন্নেছা (ইংরেজি), জি. এম. গোলাম রব্বানী (আইসিটি), মামুন হোসেন (আইসিটি), রুমানা রহমান রূপা (পদার্থবিজ্ঞান), মাঈন উদ্দিন (রসায়ন), ইমরান নাজির (গণিত), মুজাইয়ানা আহমেদ লাবনী (গণিত), মো. জাফর উল্যাহ (গণিত), সাবিত্রী রাণী দেবী (জীববিজ্ঞান)।

শিক্ষক ও অভিভাবকদের অভিযোগ, এ ধরনের সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা ক্ষুণ্ন করছে। তারা বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তাৎক্ষণিক নজরদারি কামনা করেছেন।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মিজানুর রহমান প্রতিদিনের বাংলাকে বলেন, আমরা এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। নিয়মের ব্যাতয় ঘটলে অবশ্যই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ প্রসঙ্গে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর মোঃ রিজাউল হক প্রতিদিনের বাংলাকে বলেন, নিয়ম অনুযায়ী এডহক কমিটি কেবল রুটিন দায়িত্ব পালন করবে। তবে ভিকারুননিসার ১১জন শিক্ষককে স্থায়ীকরণ বিষয়ে তিনি বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যাবস্থা নেয়া হবে। অন্যায় করে পার পাবেন না কেউ।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর