[email protected] সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫
৫ কার্তিক ১৪৩২

তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ৩:৫৮ পিএম

সংগৃহীত ছবি

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে দ্রুতই ‘তাপঝুঁকির হটস্পটে’ পরিণত হচ্ছে বাংলাদেশ।

বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির হারে দেশটি বর্তমানে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে, যা শুধু পরিবেশ নয়, স্বাস্থ্য ও অর্থনীতিতেও গুরুতর প্রভাব ফেলছে।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে বিশ্বব্যাংকের গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সৈয়দুর রহমান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র অপারেশনস অফিসার ইফফাত মাহমুদ ও সিনিয়র স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ওয়ামেক এ রাজা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৮০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বেড়েছে ১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ‘অনুভূত তাপমাত্রা’ বেড়েছে ৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

রাজধানী ঢাকার হিট ইনডেক্স জাতীয় গড়ের তুলনায় প্রায় ৬৫ শতাংশ বেশি। শুধু ২০২৪ সালেই তাপজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি ও কর্মক্ষমতা হ্রাসের কারণে প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ কর্মদিবস নষ্ট হয়েছে, যার আর্থিক ক্ষতি দাঁড়িয়েছে ১.৭৮ বিলিয়ন ডলার—জিডিপির প্রায় ০.৪ শতাংশ।

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার তথ্যমতে, ২০১৫ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ৯ বছরই ছিল বৈশ্বিক উষ্ণতার শীর্ষ সময়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে ছিল ঢাকা, যেখানে তাপমাত্রা বেড়েছে জাতীয় গড়ের চেয়ে উল্লেখযোগ্য হারে (১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস)।

বিশ্বব্যাংক জানায়, তাপমাত্রা বৃদ্ধি সরাসরি স্বাস্থ্যঝুঁকি ও উৎপাদনশীলতার হ্রাসের সঙ্গে সম্পর্কিত। তবে সিঙ্গাপুরসহ কিছু দেশের অভিজ্ঞতা দেখায়, সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে এই সংকট কার্যকরভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব।

প্রতিবেদনটি মানুষ, জীবিকা ও অর্থনীতিকে তাপঝুঁকি থেকে রক্ষায় জাতীয় প্রস্তুতি জোরদার করা, স্বাস্থ্যসেবায় সক্ষমতা বাড়ানো, শহরে সবুজায়ন বৃদ্ধি, সঠিক তথ্য সংগ্রহ এবং সরকারি-বেসরকারি অর্থায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে। 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর