বাংলা সিনেমার বর্ষীয়ান অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী অঞ্জনা রহমান না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই অভিনেত্রী শুক্রবার রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
অঞ্জনা রহমানকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে তার মরদেহ এফডিসি প্রাঙ্গণে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরপর তাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে। এ তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন শিল্পী সমিতির সভাপতি ও অভিনেতা মিশা সওদাগর।
তিনি জানান, শনিবার বাদ জোহর অঞ্জনাকে এফডিসি প্রাঙ্গণে নিয়ে আসা হবে। সেখানে চলচ্চিত্রের সহকর্মী, ভক্ত এবং অনুরাগীরা তাকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাবেন। এরপর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে অঞ্জনার মরদেহ এফডিসি থেকে বনানী কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হবে, সেখানে দ্বিতীয় জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হবে।
মিশা সওদাগর আরও জানান, অঞ্জনার পরিবারের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তাদের প্রথম পছন্দ বনানী কবরস্থান। তবে, কোনো কারণে সেখানে দাফন সম্ভব না হলে, জুরাইন কবরস্থান বিকল্প হিসেবে রাখা হয়েছে।
এদিকে, হাসপাতালের আগেই অঞ্জনা ১৫ দিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন। ওষুধ প্রয়োগেও তেমন কোনো উন্নতি হচ্ছিল না। এরপর পরীক্ষায় তার রক্তে সংক্রমণ ধরা পড়লে চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিছুদিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর শুক্রবার রাতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
অঞ্জনা রহমান ছিলেন নৃত্যশিল্পী থেকে নায়িকা হয়ে সর্বাধিক যৌথ প্রযোজনা এবং বিদেশি সিনেমায় অভিনয় করা একমাত্র দেশীয় অভিনেত্রী। তিনি তার ক্যারিয়ারে প্রায় তিন শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন। ১৯৮১ সালে ‘গাংচিল’ ও ১৯৮৬ সালে ‘পরিণীতা’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি দুবার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়াও মোহনা (১৯৮৩), পরিণীতা (১৯৮৬) এবং রাম রহিম জন (১৯৮৯) চলচ্চিত্রের জন্য তিনি তিনবার বাচসাস পুরস্কার লাভ করেন।
এসআর
মন্তব্য করুন: