[email protected] সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫
৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

কুবিতে পালিত হলো শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস

কুবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ২:৩৯ পিএম

সংগৃহীত ছবি

যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) পালিত হয়েছে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস।

রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় কালো ব্যাজ ধারণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে একটি শোক র‍্যালি বের করা হয়।

র‍্যালিটি ক্যাম্পাসের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সুমাইয়া আফরিন সানীর সঞ্চালনায় এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল হাকিম, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সোহরাব উদ্দিনসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

আলোচনা সভায় প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল হাকিম বলেন,
“আজ ১৪ ডিসেম্বর, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করার দিন। দুঃখজনক হলেও সত্য, আজও বুদ্ধিজীবীরা হত্যার শিকার হচ্ছেন।

খুনি ও সন্ত্রাসীদের বিচারের ক্ষেত্রে আমাদের নানা প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হয়। আমি আশা করবো, জুলাই ২৪-এর আন্দোলনের চেতনা বাস্তবায়িত হবে। সকল শহীদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি।”

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন,
“যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজ একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি, তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।

১৯৭১ সালে পরিকল্পিতভাবে মেধাবী শিক্ষার্থী ও বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে দেশকে মেধাশূন্য করার অপচেষ্টা চালানো হয়েছিল। আমি সেই ঘৃণ্য পরিকল্পনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং বর্তমান সময়েও মেধাবীদের নিশ্চিহ্ন করার যেকোনো ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ঘৃণা প্রকাশ করছি।”

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সোহরাব উদ্দিন বলেন,
“আজ বাঙালি জাতির জন্য এক শোকাবহ দিন। দীর্ঘ সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি।

আজকের দিনে স্বাধীনতা ও স্বাধিকার আন্দোলনের সকল শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই এবং তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।”

তিনি আরও বলেন,
“স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে তা রক্ষা করা কঠিন। সেই রক্ষার সময় এখন আমাদের সামনে। নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে গড়ে তুলতে হবে, যেন তারা দেশ ও মাতৃকার জন্য নিজেদের উৎসর্গ করতে প্রস্তুত থাকে।”

উল্লেখ্য, বাদ যোহর শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় একটি দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর