দেশের প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ভূমিকম্পের আগে ও
পরে কীভাবে নিরাপদ থাকতে হবে—এ বিষয়ে সচেতনতা জোরদার করতে নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
রোববার (২৩ নভেম্বর) অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক আদেশে জানানো হয়, ২১ নভেম্বর ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পরপর বেশ কয়েকটি ভূমিকম্প এবং আফটারশক অনুভূত হয়েছে। এ পরিস্থিতি জনসচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তাকে আরও স্পষ্ট করেছে।
নির্দেশনায় বলা হয়—
প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং ফায়ার সার্ভিসের নির্দেশনা অনুযায়ী ভূমিকম্প মোকাবিলা মহড়া পরিচালনা করতে হবে।
শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বাড়াতে লিফলেট বিতরণসহ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আগে-পরে করণীয় শেখাতে হবে।
গত শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকায় অল্প ব্যবধানে দুটি ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়। প্রথমটির মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৩.৭ এবং দ্বিতীয়টির ৪.৩; উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকার বাড্ডা ও নরসিংদী। একই দিন সকালেও নরসিংদীর পলাশ এলাকায় ৩.৩ মাত্রার আরেকটি কম্পন অনুভূত হয়।
এ ছাড়া এর আগের দিন, ২১ নভেম্বর, নরসিংদী অঞ্চলে ঘটে যাওয়া অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী ভূমিকম্পটি দেশজুড়ে ক্ষয়ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়, যাতে অন্তত ১০ জনের মৃত্যু এবং অনেক মানুষের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সাম্প্রতিক ধারাবাহিক ভূকম্পনে সারাদেশে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: