[email protected] সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫
৫ কার্তিক ১৪৩২

ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হত্যা: প্রেমিক মাহির গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০ অক্টোবর ২০২৫ ৩:৫১ পিএম

সংগৃহীত ছবি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসেন হত্যা মামলায় মূল অভিযুক্ত হিসেবে ছাত্রীর প্রেমিক মাহির রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রবিবার (১৯ অক্টোবর) রাতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানোর পর সোমবার (২০ অক্টোবর) ভোরে মাহিরের মা তাকে বংশাল থানায় সোপর্দ করেন। দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পুলিশ ও মাহিরের পরিবার।

এর আগে পুরান ঢাকায় টিউশনিতে যাওয়ার পথে ছুরিকাঘাতে খুন হন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসেন। ঘটনাস্থল থেকে সিঁড়ি বেয়ে তৃতীয় তলা পর্যন্ত রক্তের দাগ পাওয়া যায়। পরে মরদেহ উদ্ধার করে মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য।

প্রেমঘটিত বিরোধই হত্যার কারণ
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, প্রেমঘটিত বিরোধ থেকেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রী বার্জিস শাবনাম বর্ষাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।

বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন,

“বর্ষার সঙ্গে মাহির রহমানের নয় বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি তাদের সম্পর্কে ভাঙন ঘটে। বর্ষা মাহিরকে জানায়, সে জোবায়েদকে পছন্দ করে। এ কথায় ক্ষিপ্ত হয়ে মাহির তার এক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে জোবায়েদকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে।”

ওসি আরও জানান, বর্ষা পড়তেন ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষে, আর মাহির বোরহানউদ্দিন কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র। তারা দুজনই একই এলাকায় বড় হয়েছেন এবং শৈশব থেকেই একে অপরকে চিনতেন।

তবে তদন্তে এখন পর্যন্ত জোবায়েদ ও বর্ষার মধ্যে প্রেমের কোনো সম্পর্ক বা মেসেজ যোগাযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানান ওসি।

তিনি আরও বলেন,

“বর্ষাকে জিজ্ঞাসাবাদে দেখা গেছে, তার মধ্যে কোনো ভয়, দুশ্চিন্তা বা অনুশোচনার ছাপ ছিল না। বিষয়টি আমরা আরও গভীরভাবে তদন্ত করছি। প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে, এটি প্রেমঘটিত বিরোধেরই পরিণতি।”

ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, বর্ষার সঙ্গে জোবায়েদের বন্ধু সৈকতের পরিচয় ফেসবুকে হয়েছিল, তবে তাদের মধ্যে নিয়মিত কোনো যোগাযোগ ছিল না।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর