ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ মঙ্গলবার (১ জুলাই)।
এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য—‘বৈষম্যহীন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ বিনির্মাণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’।
দিনটি ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দিনব্যাপী নানা বর্ণাঢ্য কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে উপাচার্য ভবন, ঐতিহাসিক কার্জন হল, কলাভবন, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি)সহ বিভিন্ন স্থাপনা ও সড়ক। সাজসাজ রব ক্যাম্পাসজুড়ে; আনন্দ-উৎসবে মেতে উঠেছেন শিক্ষার্থীরা।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান সকাল ১০টায় টিএসসি সংলগ্ন পায়রা চত্বরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। এরপর শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভাসহ নানা আয়োজন চলবে সারাদিনব্যাপী।
বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত নিয়মিত ক্লাস বন্ধ থাকবে।
তবে পূর্বনির্ধারিত পরীক্ষাসমূহ যথারীতি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
দিবসের নিরাপত্তা এবং শোভাযাত্রার সুবিধার্থে সকাল ৯টা ৩০ মিনিট থেকে ১০টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত নীলক্ষেত ও ফুলার রোড সংলগ্ন সড়কে যান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে। সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিকল্প পথ ব্যবহারের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে দেওয়া শুভেচ্ছা বার্তায় উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, “বাংলাদেশের প্রতিটি ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তার দায়িত্বশীল ও অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে।
ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে গণঅভ্যুত্থান, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও সাম্প্রতিক গণতান্ত্রিক আন্দোলনেও বিশ্ববিদ্যালয় বরাবরই নেতৃত্ব দিয়ে এসেছে।
গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়—এই বিদ্যাপীঠ কেবল জ্ঞান চর্চার নয়, ন্যায্যতা ও সমতার ভিত্তিতে সমাজ গঠনেরও একটি শক্ত ভিত।
এসআর
মন্তব্য করুন: