সম্প্রতি ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে সংঘটিত অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষা কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে।
এ ঘটনায় বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। সংগঠনের চেয়ারম্যান ড. মোঃ সবুর খান
ও সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আবেদীন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী,কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী সকলেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি মনে করে, শিক্ষার্থীদের যে কোনো সমস্যা ও যৌক্তিক দাবি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আকারে উপস্থাপনের মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব।
কোনো কারণে যৌক্তিক সমাধান না হলে,অংশীজন প্রতিষ্ঠান এবং রেগুলেটরি কর্তৃপক্ষ—বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় —কে লিখিতভাবে অবহিত করার সুযোগ রয়েছে।
অনাকাঙ্ক্ষিত কোন ঘটনায় শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ বিনষ্ট এবং শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হওয়া কখনোই কাম্য নয়।
আমাদের মনে রাখতে হবে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাব্যয় অভিভাবকদের কষ্টার্জিত অর্থের ওপর নির্ভরশীল।
এখানে সময়ের মূল্য অপরিসীম। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ডিগ্রি অর্জনের লক্ষ্যে নিয়মিত অধ্যবসয়ের মাধ্যমে যোগ্যতা অর্জন অপরিহার্য;অন্যথায় বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়তে হয়।
দেশ-বিদেশে আমাদের ক্যাম্পাস ও শিক্ষার্থীদের শৃঙ্খলাবোধের সুনাম সুপ্রতিষ্ঠিত। যেকোনো ক্যাম্পাসকেন্দ্রিক ঘটনায় তৃতীয় পক্ষের ইন্ধন,শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্ট,শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ কিংবা প্রাণহানির মতো মর্মান্তিক ঘটনা এড়াতে শিক্ষার্থীদের সতর্কতা অত্যন্ত জরুরী। একই সাথে অধ্যবসায়, শিক্ষকদের মর্যাদা রক্ষা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখার বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি আশা প্রকাশ করে যে, উদ্ভূত সমস্যার দ্রুত ও সুষ্ঠু সমাধান করা সম্ভব হবে।এ লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকলের সহনশীল, আইনানুগ ও দায়িত্বশীল ভূমিকা অপরিহার্য।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে স্বাভাবিক শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখার বিষয়ে সকলের সার্বিক সহযোগিতা একান্তভাবে কাম্য।
এসআর
মন্তব্য করুন: