অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, শেখ হাসিনা যেভাবে তার বাবার হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে দেশে এনেছেন, আমরাও সেভাবে আন্দোলনের খুনিদের দেশে এনে বিচারের মুখোমুখি করব।
তিনি আরও জানান, আইনি প্রক্রিয়ায় শেখ হাসিনাকে দেশে এনে বিচার করা হবে।
শনিবার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) অনুষ্ঠিত ‘জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষা ও গণমাধ্যম’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (ইবিসাস) যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে।
শফিকুল আলম বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ধেক শিক্ষার্থী ছাত্রী হওয়া একটি অত্যন্ত ভালো বিষয় এবং এটি দেশের একটি ইতিবাচক ইমেজ তুলে ধরে। তিনি বলেন, ডকুমেন্টারিতে দেখেছেন, আন্দোলনে নারীরা নেতৃত্ব দিয়েছে এবং এই বিশ্ববিদ্যালয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এই ইমেজ বিশ্বব্যাপী প্রচার করা উচিত, কারণ শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ এই ইমেজের ওপর নির্ভরশীল। তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনের ইতিহাস সংরক্ষণে কাজ করা প্রয়োজন এবং যেসব হলের নাম এখনো স্বৈরাচারের নামে রয়েছে, সেগুলো শহীদদের নামে পরিবর্তন করা উচিত।
প্রেস সচিব বলেন, দেশের ভাবমূর্তি রক্ষা করার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কমিশনের মাধ্যমে আমরা আমাদের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করছি, এবং জুলাই আন্দোলনের ফলস্বরূপ কমিশনের রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এসব রিপোর্ট পড়তে এবং ক্যাম্পাসে আলোচনা করতে আহ্বান জানান।
এদিনের সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিউনিকেশন অ্যান্ড মালটিমিডিয়া জার্নালিজম বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. রশিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাংগীর আলম, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও ইবি সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. হোসাইন আল মামুন। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার বিশেষ সংবাদদাতা এসএম রাশিদুল ইসলাম।
সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তাজমুল হক জায়িমের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি ও পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার সুজা উদ্দিন, সাবেক সভাপতি ও দৈনিক সহ-সম্পাদক এমদাদুল হক, বণিক বার্তার সিনিয়র রিপোর্টার ও সংগঠনটির সাবেক সভাপতি ইমামুল হাছান আদনান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান নবীন, সাবেক সভাপতি ইমরান শুভ্র, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবির সমন্বয়ক এসএম সুইট, ইবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ, শাখা ছাত্র শিবিরের সেক্রেটারি ইউসুব আলীসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক এবং পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী।
এসআর
মন্তব্য করুন: