আজ ১২ জানুয়ারি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।
৫৪ বছরের পথচলায় দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষা, গবেষণা ও অন্যান্য কর্মকাণ্ডে অসামান্য গৌরব অর্জন করেছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয় ১৯৬৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর থেকে, যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ১৯৭০ সালের ২০ আগস্ট তৎকালীন সরকার ‘জাহাঙ্গীরনগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে এটি প্রতিষ্ঠা করে। পরে ১৯৭১ সালের ১২ জানুয়ারি, পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম আহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। ১৯৭৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাস হলে এর নাম পরিবর্তন করে ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়’ রাখা হয়।
শুরুতে ৪টি বিভাগ (অর্থনীতি, ভূগোল, গণিত ও পরিসংখ্যান) নিয়ে ১৫০ জন ছাত্র ও ২৩ জন শিক্ষকসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টি ৬টি অনুষদের অধীনে ৩৪টি বিভাগ পরিচালনা করছে। এছাড়া, ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি (আইআইটি), ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ-জেইউ), ইনস্টিটিউট অব রিমোট সেন্সিং, তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউট এবং ভাষা শিক্ষা কেন্দ্রসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উল্লেখযোগ্য স্থাপনা হিসেবে রয়েছে দেশের সবচেয়ে উঁচু শহীদ মিনার, মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ‘সংশপ্তক’, ভাষা আন্দোলনের স্মরণে নির্মিত ‘অমর একুশ’ ভাস্কর্য, এবং নাট্যাচার্য সেলিম আল দীনের নামে দৃষ্টিনন্দন মুক্তমঞ্চ। এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়টি অতিথি পাখির অভয়ারণ্য হিসেবে পরিচিত। প্রাণিবিদ্যা বিভাগের উদ্যোগে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্র ও প্রজাপতি পার্ক স্থাপনের মাধ্যমে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে বিশ্ববিদ্যালয়টির অবদান দেশজুড়ে প্রশংসিত হয়েছে।
আজকের দিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবময় ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ দিক এবং এ উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: