ড. সোহেল শিক্ষা ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের নতুন আহ্বায়ক

বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের নতুন আহ্বায়ক নির্বাচিত হয়েছেন অধ্যাপক ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) ঢাকা কলেজ অডিটোরিয়ামে সংগঠনের বিশেষ জরুরি সাধারণ সভায় কণ্ঠভোটের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত হয়।

সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ড. মো. মাসুদ খান রানা এবং কোষাধ্যক্ষ মো. নওশের আলী। নয় অঞ্চলের নয়জন যুগ্ম আহ্বায়কও নির্বাচিত হয়েছেন। নতুন কমিটি এক বছরের জন্য দায়িত্ব পালন করবে।

ড. সোহেলের প্রতিশ্রুতি
নবনির্বাচিত আহ্বায়ক ড. সোহেল এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “ক্যাডারের স্বার্থে সামনে যেসব কর্মসূচি আসবে, সেগুলো সফল করতে আপনাদের পাশে থাকা জরুরি। হয়তো আমাদের পদ বা দায়িত্ব পরিবর্তিত হতে পারে, কিন্তু আমাদের অধিকার আদায়ের লড়াই থামবে না। আমরা যেখানে যে পদেই থাকি না কেন, ক্যাডারের স্বার্থে এই লড়াই চলবে।”

তিনি আরও বলেন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ ছিল এক ফরমেটে, আর চব্বিশের ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান ছিল আরেক ফরমেটে। একাত্তরে অস্ত্রের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধারা অস্ত্র ধরেছিলেন, আর চব্বিশে নিরস্ত্র ছাত্র-জনতা ফ্যাসিস্ট শাসনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল। এই আন্দোলনে একজন শহীদ হলেও চারজন নতুনভাবে এগিয়ে গেছেন।

লড়াইয়ের কৌশল ও আহ্বান
ড. সোহেল বলেন, “ক্যাডারের স্বার্থে লড়াই চালাতে গিয়ে কেউ যেন নিগ্রহের শিকার না হন। চাকরির বিধি মেনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখালেখি ও প্রতিবাদ চালিয়ে যেতে হবে।”

শিক্ষা ক্যাডারের প্রতিবাদ ও ভূমিকা
প্রায় ১৬ হাজার সদস্যবিশিষ্ট বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার মূলত সরকারি কলেজ, মাদ্রাসা, শিক্ষার অধিদপ্তর, বোর্ড, ও প্রশাসনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করছেন। তবে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতকে ক্যাডারে অন্তর্ভুক্ত না রাখার সুপারিশের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবাদ করে আসছেন তারা। এই প্রতিবাদ করতে গিয়ে অনেক সদস্যই শাস্তির মুখোমুখি হয়েছেন।

নবনির্বাচিত কমিটি তাদের কাজের মধ্য দিয়ে শিক্ষা খাতের উন্নয়ন ও ক্যাডারের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন।