দেশের পুঁজিবাজারে ব্যবসা পরিচালনা করা ব্রোকারেজ
হাউসগুলোর মধ্যে চলতি বছরের শুরু থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ১১৭টি অফিস বন্ধ হয়ে গেছে। এর মধ্যে রয়েছে শাখা অফিসের পাশাপাশি কয়েকটি প্রধান কার্যালয়ও। মূলত লেনদেন কমে যাওয়া, খরচ কমানো এবং সংস্কার কাজের কারণে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্র জানায়, বন্ধ হওয়া অফিসগুলোর মধ্যে সাদ সিকিউরিটিজের মিরপুর ও নারায়ণগঞ্জ শাখা এবং ইউনাইটেড সিকিউরিটিজের প্রধান কার্যালয় উল্লেখযোগ্য। সাদ সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান মো. দেলোয়ার হোসাইন বলেন, “বাজারের গতিবেগ এত কম যে শাখা অফিস চালিয়ে খরচ কমানো সম্ভব নয়। বিনিয়োগকারীর সংখ্যা না থাকায় আমাদের শাখা বন্ধ রাখা ছাড়া উপায় নেই।”
ইতিমধ্যে ইউনাইটেড সিকিউরিটিজ জানিয়েছে, তাদের প্রধান কার্যালয়ে রিনোভেশন কাজ চলছে। ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. সাব্বির হুসাইন বলেন, “৮ থেকে ১১ তলা পর্যন্ত সংস্কার করা হচ্ছে, কাজ শেষ হলে লেনদেন আবার শুরু হবে।”
শার্প সিকিউরিটিজও একটি শাখা অফিস বন্ধ করেছে। এমডি মোজাম্মেল হক ভূঁইয়া জানান, “আমরা এখন অনলাইন মাধ্যমে ক্লায়েন্টদের সেবা দেওয়ার দিকে গুরুত্ব দিচ্ছি। বাজারে লেনদেন কম হওয়ায় খরচ কমানোর জন্য শাখা বন্ধ রাখা হয়েছে। ভবিষ্যতে চাহিদা বাড়লে শাখা পুনরায় চালু করা হবে।”
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদিত ট্রেক সনদ অনুযায়ী ৩০৭টি ব্রোকারেজ হাউস এখন পুঁজিবাজারে ব্যবসা পরিচালনা করছে। এর মধ্যে ৫টি হাউসের কার্যক্রম স্থগিত। সচল থাকা ৩০২টি হাউজের অফিস ও শাখা সংখ্যা প্রায় ১,৫০০।
ঢাকা ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের অধিকাংশ অফিস বন্ধের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে—বাজারে লেনদেন কম হওয়া, সনদ নবায়ন সমস্যা এবং সংস্কার কাজ। এর ফলে কিছু ব্রোকারেজ হাউসের গ্রাহক বর্তমানে লেনদেন করতে পারছেন না।
এক বিনিয়োগকারী মাসুদ আহমেদ অভিযোগ করেন, “ব্রোকারেজ হাউসের লেনদেন বন্ধ থাকায় আমার টাকা উঠানো সম্ভব হয়নি। বিপদের সময়ে এই অবস্থা অত্যন্ত সমস্যাজনক। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের উপর ভার বেশি পড়ছে।”
এসআর
মন্তব্য করুন: