দেশে খেলাপি ঋণের পরিমাণ আবারও বেড়েছে।
চলতি বছরের মার্চ শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ২০ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা, যা বিতরণকৃত মোট ঋণের ২৪ দশমিক ১৩ শতাংশ। রোববার (১৫ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগের প্রান্তিকে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা, যা ছিল মোট ঋণের ২০ দশমিক ২০ শতাংশ। তিন মাসের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৭৪ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা; শতাংশের হিসাবে বেড়েছে ৩.৯৩।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “খেলাপি ঋণের প্রকৃত তথ্য প্রকাশে বাংলাদেশ ব্যাংক আপসহীন। এই ঋণ আদায়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পাশাপাশি নতুন ঋণ যেন খেলাপিতে পরিণত না হয়, সে লক্ষ্যে আইনি ব্যবস্থাও আরও কঠোর করা হচ্ছে।”
তিনি আরও জানান, অতীতে খেলাপি ঋণকে নিয়মিত দেখানোর কিছু সুযোগ ছিল, যা এখন বন্ধ করা হয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সেই সুবিধা আর কার্যকর নেই। ফলে পূর্বে লুকিয়ে রাখা বহু ঋণ এখন খেলাপির তালিকায় চলে এসেছে।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশে মোট বিতরণকৃত ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৪১ হাজার ৯৯২ কোটি টাকা। গত বছরের ডিসেম্বর শেষে যা ছিল ১৭ লাখ ১১ হাজার ৪০২ কোটি টাকা।
অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিভিন্ন প্রভাবশালী গ্রুপ বছরের পর বছর ঋণ নিয়ে পরিশোধ না করলেও ব্যাংক খাতের দুর্বল নজরদারি ও রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে তারা বেঁচে গেছেন।
এস আলম ও বেক্সিমকোর মতো শীর্ষ ঋণগ্রহীতাদের অনেকে ইতোমধ্যে খেলাপিতে পরিণত হয়েছেন, কেউ কেউ পলাতক বা আইনের আওতায় রয়েছেন।
এসআর
মন্তব্য করুন: