বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুরের ব্যক্তিগত লকার খোলার প্রস্তুতি চলছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাত সদস্যের একটি দল ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ ব্যাংকে উপস্থিত হয়েছে এবং লকারের দায়িত্বে থাকা নির্বাহী পরিচালকের সঙ্গে মিটিং সম্পন্ন করেছে।
শিগগিরই লকার খোলার কাজ শুরু হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, লকার খোলার প্রক্রিয়ার জন্য একজন স্বর্ণকারকে ডাকা হয়েছে। স্বর্ণকার পৌঁছানোর পর অভিযান শুরু হবে। এ সময় উপস্থিত থাকবেন একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং দুদক পরিচালক কাজী মো. সায়েমুজ্জামানের নেতৃত্বে দুদকের প্রতিনিধি দল।
গত ১৯ জানুয়ারি রাজধানীর ধানমন্ডিতে এস কে সুরের বাসা থেকে অভিযান চালিয়ে ১৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা জব্দের সময় তার নামে বাংলাদেশ ব্যাংকে একটি ভল্ট থাকার তথ্য পায় দুদক।
পরবর্তীতে জানা যায়, সেটি ভল্ট নয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মূল্যবান সামগ্রী রাখার সেফ ডিপোজিট লকার।
এরপর দুদক লকারের সামগ্রী স্থানান্তর বা হস্তান্তর না করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দেয়। ২১ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিরাপত্তা শাখা দুদককে জানায়, লকারের সামগ্রী স্থানান্তর স্থগিত রাখা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের লকারে কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা তাদের ব্যক্তিগত মূল্যবান সামগ্রী নিজ নামে সিলগালা অবস্থায় ২০ বছর পর্যন্ত রাখতে পারেন।
২৩ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের আরেক চিঠিতে জানানো হয়, এস কে সুর তিনটি লকার নম্বরে মূল্যবান সামগ্রী রেখেছেন।
এর মধ্যে দুটি লকারের নমিনি তার স্ত্রী সুপর্ণা সুর চৌধুরী এবং একটির নমিনি তার মেয়ে নন্দিতা সুর চৌধুরী। তবে ওই লকারগুলোতে কী রাখা হয়েছে, তা বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি।
দুদক লকারগুলো খোলার জন্য আদালতের অনুমতি চাইলে ২২ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে আবেদন করা হয়। পরদিন আদালত লকার খোলার অনুমতি দেন।
লকারগুলোতে কী ধরনের সামগ্রী রয়েছে, তা জানার জন্য দুদক লকারগুলো খুলে দেখার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: