আগামী ৭ জুন পবিত্র ঈদুল আজহা উদ্যাপন উপলক্ষে রাজধানীতে কোরবানির পশুর হাট বসার কথা রয়েছে ৩ জুন থেকে।
তবে ঈদের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি থাকলেও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এখনো অধিকাংশ হাটের ইজারা চূড়ান্ত করতে পারেনি।
ডিএনসিসি সূত্রে জানা গেছে, এ বছর একটি স্থায়ী হাট (গাবতলী) ছাড়াও ১০টি অস্থায়ী হাট বসানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তবে গত বৃহস্পতিবার (৩০ মে) পর্যন্ত মাত্র দুটি অস্থায়ী হাটের ইজারা চূড়ান্ত হয়েছে।
চূড়ান্ত হওয়া হাট দুটি হলো:
হাটের ইজারা দেরিতে চূড়ান্ত হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সম্ভাব্য ইজারাদাররা। তারা বলছেন, হাট ব্যবস্থাপনা, অবকাঠামো তৈরি এবং প্রচারের জন্য কমপক্ষে দুই সপ্তাহ সময় প্রয়োজন। অথচ এখনো অধিকাংশ হাটের ইজারা চূড়ান্ত হয়নি, ফলে সারাদেশের গবাদিপশুর ব্যবসায়ী ও পাইকারদেরও প্রস্তুত হতে সমস্যা হচ্ছে।
রাজধানীর একমাত্র স্থায়ী হাট গাবতলী এবং অন্যতম বড় অস্থায়ী হাট উত্তরার দিয়াবাড়ি হাট—এই দুটি হাটের বিষয়ে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি ডিএনসিসি।
প্রথম দফায় গত ২৯ এপ্রিল ১০টি অস্থায়ী হাটের জন্য দরপত্র আহ্বান করে ডিএনসিসি। তবে বাড্ডা ইস্টার্ন হাউজিং, আফতাবনগর এবং খিলক্ষেত বনরূপা হাট উচ্চ আদালতের নির্দেশে বাতিল করা হয়।
বাকি হাটগুলোর মধ্যে মাত্র দুটি হাটে সরকার নির্ধারিত দরের চেয়ে বেশি দর পাওয়া গেছে। মিরপুর-৬ নম্বর ইস্টার্ন হাউজিং হাটে সর্বোচ্চ দর পাওয়া গেলেও দুই দরদাতার দর সমান হওয়ায় সিদ্ধান্ত স্থগিত রয়েছে।
এরপর গত ২৪ মে দ্বিতীয় দফায় ৬টি হাটের জন্য পুনরায় দরপত্র আহ্বান করা হয়। পাশাপাশি আরও দুটি নতুন স্থান—কাঁচকুড়া ও খিলক্ষেত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নিচের খালি জায়গা—হাট হিসেবে যুক্ত করে দরপত্র আহ্বান করা হয়।
সম্পত্তি বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সভায় ৬টি হাটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং অনুমোদনের জন্য প্রশাসকের দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
তারা আশা করছেন, রোববারের (২ জুন) মধ্যেই বাকি হাটগুলোর ইজারাপ্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে।
এসআর
মন্তব্য করুন: