কুড়িগ্রামে কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় জনজীবন
ধীরে ধীরে স্থবির হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) ভোরে জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
এতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়ছে সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে চরাঞ্চলের দরিদ্র পরিবারগুলো। হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা আগের তুলনায় বাড়তে শুরু করেছে। রাত থেকে সকাল পর্যন্ত হিমেল বাতাসে কাঁপুনি বাড়ছে, আর দিনের বেলাতেও সূর্যের আলো থাকলেও পর্যাপ্ত উষ্ণতা মিলছে না।
শহরের কলেজপাড়া এলাকার বাসিন্দা আলামিন মিয়া, জসিম উদ্দিন এবং আব্দুল জলিলসহ স্থানীয়রা জানান, শীতের তীব্রতায় স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহত হচ্ছে, আর দিনমজুররা সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ছেন।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের শ্রমজীবী আকবর হোসেন বলেন, ‘শীতে সকাল সকাল কাজে বের হতে কষ্ট হয়। ঠান্ডায় হাত-পা ঠিকমতো চলে না; তবুও কাজে না গেলে চলবে না।’
তবে জেলা সিভিল সার্জন ডা. স্বপ্নন কুমার বিশ্বাস জানান, শীতজনিত রোগীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে না বাড়লেও প্রতিদিন বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা রোগীরা আউটডোর বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
জেলা প্রশাসক অন্নপূর্ণা দেবনাথ জানিয়েছেন, শীতবস্ত্র বিতরণের তালিকা প্রস্তুত হয়েছে, খুব দ্রুতই শীতার্তদের মধ্যে কম্বল বিতরণ শুরু হবে।
রাজারহাট আবহাওয়া ও কৃষি পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, আজ সকাল ৬টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, এবং আগামী দিনগুলোতে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
এসআর
মন্তব্য করুন: