[email protected] সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫
৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

মৌসুমের শুরুতেও আশানুরূপ পর্যটক নেই কুয়াকাটায়

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ১:৩২ পিএম

শীতকালীন পর্যটন মৌসুম শুরু হলেও দেশের অন্যতম সমুদ্রসৈকত

কুয়াকাটায় এখনো প্রত্যাশিত পর্যটকের দেখা মিলছে না। স্থানীয় হোটেল–মোটেল মালিক, ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন পর্যটনসংশ্লিষ্ট পেশার মানুষ বলছেন—গত বছরের তুলনায় এবারের মৌসুমের শুরুটা বেশ নিরিবিলি কেটেছে। এতে করে এলাকার কমপক্ষে ১৬টি পেশার সঙ্গে জড়িত মানুষের আয় কমে যাচ্ছে। তবে অনেকেই আশা করছেন, ১৬ ডিসেম্বরের পর থেকেই পরিস্থিতি কিছুটা ঘুরে দাঁড়াবে।

সোমবার (৮ ডিসেম্বর) কুয়াকাটার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে গিয়ে দেখা যায়, সৈকতসংলগ্ন ছোট ব্যবসায়ীরা প্রায় খদ্দেরশূন্য সময় কাটাচ্ছেন। অটোভ্যানচালক, ক্যামেরাম্যান, ছাতা ও বেঞ্চ ভাড়াদাতা—সবার অবস্থাই একই। পর্যটকই তাদের আয়ের একমাত্র ভরসা।

কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. ইব্রাহিম ওয়াহিদের ভাষ্য, ডিসেম্বরের শুরু থেকেই সাধারণত বুকিংয়ের চাপ থাকে; কিন্তু এবার অনেক হোটেলের প্রায় ৪০–৫০ শতাংশ কক্ষ খালি। এতে ব্যবসায়ীরা ক্ষতির আশঙ্কায় আছেন। তাঁর মতে, ১৬ ডিসেম্বরের পর পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হতে পারে।

স্থানীয় দোকানদার সাইফুল ইসলাম বুলেট জানান, মৌসুম এলেই ভালো ব্যবসার প্রত্যাশা করেন তারা। কিন্তু এ বছর আশানুরূপ ভিড় দেখা যাচ্ছে না। “লাখ টাকার মাল নিয়ে বসে আছি, কিন্তু ক্রেতা নেই”—বলেই নিজের হতাশার কথা তুলে ধরেন তিনি।

কুয়াকাটা সৈকতে কাজ করা প্রায় তিন শতাধিক ফটোগ্রাফারের একজন আরিফ বিল্লাহ বলেন, বর্ষায় পর্যটক কম থাকায় তারা শীত মৌসুমের ওপর নির্ভর করেন। কিন্তু এবারের শুরুর দিকটা বেশ ম্লান। তবে তিনি আশাবাদী, খুব শিগগিরই পরিস্থিতি বদলাবে।

টোয়াকের (ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা) প্রেসিডেন্ট রুমান ইমতিয়াজ তুষারের মতে, জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে আসা এবং এবারের শীত কিছুটা বেশি অনুভূত হওয়ায় পর্যটকের সংখ্যা কমেছে। তথাপি সামনে পর্যটন পরিবেশ জমে উঠবে বলে তিনি আশা করছেন।

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ ও থার্টিফার্স্ট নাইটকে কেন্দ্র করে পর্যটকের চাপ বাড়তে পারে। পর্যটকদের নিরাপত্তা ও সেবায় তারা প্রস্তুত রয়েছেন।

 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর