কুড়িগ্রামে ঘন কুয়াশা আর প্রচণ্ড শীতের কারণে স্বাভাবিক
জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়ে পড়েছে। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ছেন দিনমজুর ও নিত্যদিন বাইরে কাজ করেন এমন মানুষরা।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) ভোর ৬টার দিকে জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে আসে ১২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। প্রবল কুয়াশায় সামনে দেখা না যাওয়ায় যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
দিন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছুটা উষ্ণতা ফিরলেও হঠাৎ এই আবহাওয়া পরিবর্তনের প্রভাবে শিশু ও প্রবীণদের মধ্যে শীতজনিত বিভিন্ন রোগের প্রকোপ বেড়েছে।
যাত্রাপুর ইউনিয়নের আমেনা বেগম জানান, কয়েক দিন ধরে তীব্র ঠান্ডায় তার সন্তানের জ্বর-সর্দি দেখা দিয়েছে, তাই চিকিৎসার জন্য তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসতে হয়েছে।
চিলমারী উপজেলার মফিজুল হক বলেন, নদীর ধারের মানুষদের জন্য শীতকাল যেন বড় দুর্ভোগ। ঠান্ডার কারণে ঘর থেকে বের হওয়া কঠিন হয়ে পড়ে এবং কাজকর্মও ব্যাহত হয়। হাত-পা অবশ হয়ে আসে, কোনো কিছু করাই কষ্টকর হয়ে পড়ে।
কুড়িগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. স্বপন কুমার বিশ্বাস সতর্ক করে বলেন, শীতের তীব্রতায় সর্দি-কাশি, ফ্লু, ব্রঙ্কাইটিস, হাঁপানি এবং হুপিং কাশির মতো রোগ দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে বয়স্ক ও শিশুদের সবসময় গরম কাপড় পরিধান করা এবং অপ্রয়োজনে বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
রাজারহাট আবহাওয়া ও কৃষি পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, জেলায় আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। কুয়াশা বাড়ার সঙ্গে তাপমাত্রা আরও কমে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেতে পারে।
এসআর
মন্তব্য করুন: