শীতের সবজি বাজারে উঠতে শুরু করলেও দাম কমছে না। সাধারণত
এ মৌসুমে সরবরাহ বেশি থাকায় সবজির বাজার স্বস্তিদায়ক থাকে, কিন্তু এবার চিত্র ভিন্ন। পেঁয়াজের বাজার আগে যেমন অস্থিতিশীল ছিল, এখন আগাম পাতাযুক্ত পেঁয়াজ আসায় সেই পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও অন্যান্য সবজির দাম এখনও বেশ চড়া।
শনিবার (২৯ নভেম্বর) রাজধানীর মালিবাগ ও রামপুরাসহ কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে—ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, শালগম, মুলা ও অন্যান্য মৌসুমি সবজির সরবরাহ বাড়লেও দাম গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি।
বিক্রেতাদের দাবি, উৎপাদন এলাকাতেই সবজির দাম বেশি থাকায় শহরের পাইকারি ও খুচরা বাজারেও তার প্রভাব পড়ছে। আগাম চাষের সবজি কৃষকেরা ভালো দামে বিক্রি করছেন। পাশাপাশি অক্টোবরে অতিরিক্ত বৃষ্টিতে অনেক ফসল নষ্ট হওয়ায় কৃষকেরা কিছুটা বেশি দাম পেয়েই ক্ষতি পূরণ করার চেষ্টা করছেন। তাদের ধারণা, শীতের সবজির সরবরাহ পুরোপুরি গতি পেলে দাম স্বাভাবিক হবে।
মালিবাগ বাজারে সবজি কিনতে আসা আব্দুল হান্নান জানান, প্রতিটি ফুলকপি ৫০ টাকা বলা হলেও দর-দাম শেষে ৪০ টাকায় দুটি কিনতে পেরেছেন।
বাজারদর পর্যবেক্ষণে দেখা যায়—
ভালো মানের বেগুন প্রতি কেজি ৮০–১০০ টাকা, যা সাধারণত গরমকালের দাম। শীতকালে এ দাম নেমে আসে ৪০–৬০ টাকায়।
মাঝারি আকারের ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৪০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
নতুন শিম প্রতি কেজি ৮০ টাকা, আর দেশি শিম ১৫০ টাকার ওপরে।
নতুন আলু বাজারভেদে ১২০–১৫০ টাকা কেজি, পুরাতন আলু ৩০ টাকা।
গাজর ৮০ টাকা কেজি—গত সপ্তাহেও একই দাম ছিল।
টমেটো কমে ১৫০ টাকায় এসেছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬০ টাকা।
করলা ১০০ টাকা, আগে ছিল ১২০ টাকা।
বরবটি ৯০–১০০ টাকা, ঢেড়স ও পটল ৫০–৭০ টাকা।
একটি মিষ্টি কুমড়া পাওয়া যাচ্ছে ৭০ টাকায়।
ধুন্দল ও ঝিঙ্গা ৮০ টাকা কেজি, কাঁচা পেঁপে সবচেয়ে সস্তা—২৫ টাকা কেজি।
চাল কুমড়া ৬০ টাকা, লাউ ৮০ টাকা, মুলা ৫০ টাকা কেজি।
শাকের বাজারেও পরিস্থিতি একই। প্রতি আঁটি শাক কিনতে এখন ২০ টাকার কম লাগছে না, যেখানে শীতকালে সাধারণত ১০–১৫ টাকায় বিভিন্ন ধরনের শাক পাওয়া সম্ভব। ক্রেতাদের অভিযোগ—শীতকাল হওয়া সত্ত্বেও সবজি বাজারে তেমন স্বস্তি মিলছে না; বরং আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় দাম অনেক বেশি।
এসআর
মন্তব্য করুন: