[email protected] বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫
৩ পৌষ ১৪৩২

রামপুরায় মানবতাবিরোধী অপরাধ

ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিলেন সিআইডির আলোকচিত্র বিশেষজ্ঞ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৭ নভেম্বর ২০২৫ ১:৫১ পিএম

রামপুরায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায়

ধারাবাহিকভাবে অষ্টম দিনের মতো সাক্ষ্য দিয়েছেন সিআইডির আলোকচিত্র বিশেষজ্ঞ গোলাম ইফতেখার আলম। বৃহস্পতিবার ট্রাইব্যুনাল-১–এর সদস্য অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরীর একক বেঞ্চে তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।

১৩তম সাক্ষী হিসেবে তিনি জানান, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা বিভিন্ন আলামতের ছবি ও সেগুলোর বিশ্লেষণ তিনি করেছেন। পরে তাকে জেরা করেন পলাতক চার আসামির রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন এবং গ্রেপ্তার আসামি এএসআই চঞ্চল চন্দ্র সরকারের আইনজীবী সারওয়ার জাহান। পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ হিসেবে ২ ডিসেম্বর নির্ধারণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন গাজী এমএইচ তামিম, ফারুক আহাম্মদ, সাইমুম রেজা তালুকদার, আবদুস সাত্তার পালোয়ানসহ অন্যরা।

এ মামলায় গ্রেপ্তার রয়েছেন রামপুরা ফাঁড়ির সাবেক এএসআই চঞ্চল চন্দ্র সরকার। বাকিরা—সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, খিলগাঁও জোনের সাবেক এডিসি রাশেদুল ইসলাম, রামপুরার সাবেক ওসি মশিউর রহমান এবং সাবেক এসআই তারিকুল ইসলাম—পলাতক। গত ১০ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়।

এ পর্যন্ত মামলায় মোট ১৩ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাবের কর্মকর্তা রুকুনুজ্জামান, পুলিশের এএসআই বায়জীদ খান, এসআই শাহিন মিয়া, ফরাজি হাসপাতালের নার্স লিংকন মাঝি, নিহতদের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা। তারা গত বছরের ১৯ জুলাই রামপুরার বনশ্রী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নৃশংস অভিযানের বিবরণ দেন, যেখানে আমির হোসেন গুলিবিদ্ধ হন এবং দুজন নিহত হন।

অভিযোগ গঠনের পর ২৩ অক্টোবর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। প্রথম সাক্ষী ছিলেন গুলিবিদ্ধ আমির হোসেন। ১৮ সেপ্টেম্বর ট্রাইব্যুনাল হাবিবুর রহমানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর নির্দেশ দেয়। পলাতক চার আসামির পক্ষে স্টেট ডিফেন্স নিয়োগ করা হয় গত ১ সেপ্টেম্বর। এর আগে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল, পলাতকদের হাজিরের নির্দেশসহ বিভিন্ন ধাপ সম্পন্ন হয়।

 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর