ভোলার লালমোহন উপজেলার ধলী গৌরনগর ইউনিয়নের দুটি
গ্রামের ১৩ জন জেলে নিয়ে সমুদ্রে যাওয়া একটি মাছ ধরার ট্রলার গত ১২ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে জেলেদের কোনো খোঁজ না মেলায় তাদের পরিবার গভীর উদ্বেগে রয়েছে।
১০ নভেম্বর দুপুরে “মা–বাবার দোয়া” নামের ফিশিংবোটটি স্থানীয় মাস্টার বাজার এলাকা থেকে মেঘনা নদীপথে সমুদ্রমুখী হয়। চরফ্যাশনের সামরাজ ঘাটে নোঙর করে বরফ সংগ্রহের পর ট্রলারটি পুনরায় গভীর সমুদ্রে যায়। পরদিন থেকেই ট্রলারের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
ট্রলার মালিকের ছেলে শাহীন জানান, তাদের নৌযানে জিপিএস ছিল না। সাধারণত ৫–৬ দিনের মধ্যে জেলেরা আবার তীরে ফিরে আসে। কিন্তু ১১ নভেম্বর থেকে কারও সঙ্গে আর যোগাযোগ করা যাচ্ছে না; তাদের ফোনও বন্ধ। তিনি প্রশাসনের কাছে দ্রুত অনুসন্ধানের দাবি জানান।
এ ঘটনায় জেলে পরিবারগুলো উদ্বেগে দিন কাটাচ্ছে। অনেকে আশঙ্কা করছেন, হয়তো ট্রলারটি পথ হারিয়ে প্রতিবেশী দেশের জলে প্রবেশ করেছে অথবা ঝড়ের কবলে পড়েছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তার মতে, নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব। এদিকে লালমোহন থানা পুলিশ জানিয়েছে, অনুসন্ধানে পাঠানো আরেকটি বোটও এখনো ফিরে আসেনি।
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী জেলে সমিতির ভোলা জেলা শাখা নিখোঁজ জেলেদের দ্রুত উদ্ধার অভিযানের জন্য কোস্টগার্ডসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর প্রতি জরুরি আহ্বান জানিয়েছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: