[email protected] মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫
২ পৌষ ১৪৩২

তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি: আতঙ্কে নির্ঘুম রাত নদীপাড়ের মানুষের

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৬ অক্টোবর ২০২৫ ৯:১৩ এএম

সংগৃহীত ছবি

তিস্তা নদীর পানি হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়ায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার নদীপাড়ের মানুষ কাটাচ্ছেন দুশ্চিন্তা ও আতঙ্কে ভরা নির্ঘুম রাত।

পানি বাড়তে শুরু করায় উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল ও রাস্তাঘাট ইতিমধ্যেই পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে বিপাকে পড়েছেন তিস্তাপাড়ের হাজারো মানুষ।

সরেজমিনে দেখা গেছে, গড্ডিমারী ইউনিয়নের গাজীরমোড় ও বটতলা এলাকায় স্থানীয়রা নিজ উদ্যোগে মাটিভর্তি বস্তা ফেলে পানি ঠেকানোর চেষ্টা করছেন। ইতোমধ্যে সানিয়াজান, সিঙ্গিমারী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া ও ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

পানি বৃদ্ধির কারণে তিস্তা ব্যারাজ রক্ষার একমাত্র ফ্লাইড বাইপাস সড়কের ওপর দিয়েও পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে যেকোনো সময় লালমনিরহাট-নীলফামারীর গুরুত্বপূর্ণ এ যোগাযোগ সড়কটি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার (৫ অক্টোবর) রাত ৮টার পর থেকেই ফ্লাইড বাইপাস সড়কের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহ শুরু হয়। এরপর থেকে পানি বৃদ্ধির গতি আরও বেড়ে যায়। পরিস্থিতি বিবেচনায় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) তিস্তাপাড়ে ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করে মাইকিংয়ের মাধ্যমে এলাকাবাসীকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে অনুরোধ জানিয়েছে।

এদিকে উজানের পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিপাতের ফলে সোমবার রাত ১২টার দিকে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হয়। এতে নিম্নাঞ্চলগুলোতে পানি ঢুকে পড়েছে, চলাচলের রাস্তা-ঘাট ডুবে গেছে এবং মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। তিস্তার চরাঞ্চল ও নিম্নভূমির ফসলি জমিও পানিতে তলিয়ে গেছে।

হাতীবান্ধার পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম, আদিতমারীর চর গোবর্ধন ও মহিষখোঁচা ইউনিয়ন এবং সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর ও গোকুন্ডা ইউনিয়নের চরাঞ্চলগুলোও প্লাবিত হয়েছে।

পরিস্থিতি সম্পর্কে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন,

“বর্তমানে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। ফ্লাইড বাইপাস সড়কের ওপর দিয়ে পানি বইছে। আমরা তিস্তাপাড়ের মানুষকে সতর্ক থাকতে বলেছি।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর