লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার মডেল কলেজে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগে জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও উপজেলা জামায়াতের আমির হাছেন আলীর বিরুদ্ধে।
অভিযোগে বলা হয়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) স্বাক্ষর স্ক্যান করে ১৩টি নিয়োগ ফাইল মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠিয়েছেন তিনি।
বিষয়টি জানাজানির পর বৃহস্পতিবার হাছেন আলীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন ইউএনও শামীম মিঞা। নোটিশে বলা হয়, ইউএনওকে না জানিয়ে স্বাক্ষর স্ক্যান করে ফাইল পাঠানো হয়েছে, যা জালিয়াতির শামিল। তিন কর্মদিবসের মধ্যে এ বিষয়ে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে।
ইউএনও শামীম মিঞা বলেন, “আমি কোনো ফাইলে স্বাক্ষর করিনি। আমার স্বাক্ষর স্ক্যান করে ব্যবহার করা হয়েছে, এটা জালিয়াতি।” তিনি জানান, জবাব পাওয়ার পর তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, অভিযোগ ওঠার পর বৃহস্পতিবার রাতে দলীয় জরুরি বৈঠকে হাছেন আলীকে হাতীবান্ধা উপজেলা জামায়াতের আমির পদ থেকে অব্যাহতি দেয় জেলা কমিটি। তার স্থানে ভারপ্রাপ্ত আমিরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি রফিকুল ইসলামকে।
জেলা জামায়াতের আমির আবু তাহের হাছেন আলীকে অব্যাহতির বিষয়টি নিশ্চিত করলেও কারণ জানাতে অস্বীকৃতি জানান।
তবে জামায়াতের একাধিক পর্যায়ের নেতারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দাবি করেছেন, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণেই হাছেন আলীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে হাছেন আলীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এসআর
মন্তব্য করুন: