চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো এক নারীসহ দুইজনের শরীরে জিকা ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।
সোমবার (৭ জুলাই) রাতে নগরীর একটি বেসরকারি ল্যাবরেটরি থেকে পাওয়া পরীক্ষার রিপোর্টে এই ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে।
চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, প্রাথমিকভাবে জিকা ভাইরাস শনাক্ত হলেও চূড়ান্ত নিশ্চিতকরণের জন্য ঢাকার রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর কাছে নমুনা পাঠানো হবে।
জ্বর, শরীর ব্যথা ও অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে দুইজন রোগী চট্টগ্রামের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. ওয়ালিউল্লাহ ও ডা. মো. নুরুন্নবীর চেম্বারে চিকিৎসা নিতে গেলে চিকিৎসকদের সন্দেহ হয়। পরে তাদের ‘জিকা ভাইরাস’ পরীক্ষার পরামর্শ দেওয়া হয়।
নগরীর এপিক ল্যাব-এ পরীক্ষার পর তাদের শরীরে জিকা ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। আক্রান্ত দুজনই ৪০ বছরের বেশি বয়সী—একজন পুরুষ, একজন নারী।
সিভিল সার্জন বলেন, “চূড়ান্ত নিশ্চিতকরণের জন্য আইইডিসিআর-এ চিঠি দেওয়া হয়েছে। আগামী দুই দিনের মধ্যে তারা প্রতিনিধি দল পাঠিয়ে নমুনা সংগ্রহ করবে ও পুনরায় পরীক্ষা করবে।”
তিনি আরও জানান, জিকা ভাইরাস মূলত এডিস মশার মাধ্যমে সংক্রমিত হয়, ঠিক যেমন ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া ভাইরাস। তবে ডেঙ্গুর তুলনায় জিকা ভাইরাসে আক্রান্তদের জটিলতা তুলনামূলকভাবে কম হয়ে থাকে।
আক্রান্ত ব্যক্তিরা যেসব এলাকায় বসবাস করেন, সেখানে মশক নিধন কার্যক্রম জোরদার করতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে ইতোমধ্যে জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গর্ভবতী নারীদের জন্য জিকা ভাইরাস বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ, কারণ এটি গর্ভস্থ শিশুর জন্মগত ত্রুটি সৃষ্টি করতে পারে। তাই এমন পরিস্থিতিতে জনসচেতনতা এবং দ্রুত প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
চট্টগ্রামে এই প্রথম জিকা ভাইরাস শনাক্ত হওয়ায় স্বাস্থ্য বিভাগ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
এসআর
মন্তব্য করুন: