[email protected] বুধবার, ৭ মে ২০২৫
২৩ বৈশাখ ১৪৩২

যুবদল নেতার লাশ উদ্ধার, পাশেই পাওয়া চিরকুটে লেখা ‘হত্যার কারণ’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২ জানুয়ারি ২০২৫ ১২:১৭ পিএম

ফাইল  ছবি

মেহেরপুরের গাংনীতে নিখোঁজের ১২ ঘণ্টা পর আলমগীর হোসেন (৩২) নামে এক যুবদল নেতার গলাকাটা লাশ উদ্ধার হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে সহড়াবাড়ীয়া-কামারখালী মাঠ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে গাংনী থানা পুলিশ। নিহতের লাশের পাশে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে, যেখানে হত্যার কারণ সম্পর্কে লেখা রয়েছে।

নিহত আলমগীর হোসেন গাংনী পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি এবং বাঁশাবড়ায়ী গ্রামের মইনুদ্দীন শেখের ছেলে। তিনি বুধবার সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ ছিলেন।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সহড়াবাড়ীয়া-কামারখালী মাঠের একটি বাবলা গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে বাঁধা অবস্থায় অজ্ঞাত এক ব্যক্তির লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে তার স্বজনরা গিয়ে লাশের পরিচয় শনাক্ত করেন। নিহতের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায় এবং গলা কাটা অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, লাশের পাশ থেকে হাতে লেখা একটি চিরকুট পাওয়া যায়। চিরকুটে অজ্ঞাত এক নারীর বরাতে লেখা ছিল, "৫ বছর পরকীয়া প্রেম ও শারীরিক সম্পর্ক করে বিয়ে না করার প্রতিশোধ হিসেবে তাকে হত্যা করা হয়েছে।" তবে পুলিশ হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ তদন্ত করছে এবং এটি পরকীয়া প্রেমের কারণে কিনা, কিংবা অন্য কোনো উদ্দেশ্যে হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

নিহতের ভাই আলামিন হোসেন জানান, আলমগীর হোসেন প্রায় দেড় মাস আগে দুবাই থেকে দেশে ফিরেছিলেন। বুধবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর রাত পর্যন্ত ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন তার খোঁজ নিতে থাকে, কিন্তু কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।

গাংনী পৌর যুবদলের আহ্বায়ক সাহিদুল ইসলাম এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, আলমগীর হোসেন দলের একজন নিবেদিত কর্মী ছিলেন। তিনি হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।

গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বানি ইসরাইল জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন এবং হত্যাকারীদের গ্রেফতারে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর