গাইবান্ধা পৌরসভার দক্ষিণ ধানঘড়া এলাকায় বিআরটিএ অফিসের স্টোর রুম থেকে হৃদয় কুমার (২৪) নামে এক কর্মচারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার বিকেলে স্টোর রুমের দরজার হাজবলের সাথে গলায় বেল্ট পেঁচানো অবস্থায় মরদেহটি পাওয়া যায়।
মরদেহ উদ্ধারের পর গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানান গাইবান্ধা সদর থানার ওসি মো. শাহিনুর ইসলাম তালুকদার। তিনি আরও জানান, ঘটনার তদন্তে সিআইডি কাজ করছে এবং সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।
হৃদয়ের মা মিনতি রাণী দাবি করেন, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তার অভিযোগ, হত্যার পর তার ছেলের মরদেহ বেল্ট দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। তিনি দ্রুত দায়ীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
হৃদয় কুমার সিরাজগঞ্জ জেলার কোশাহাটা গ্রামের বাসিন্দা এবং গাইবান্ধা বিআরটিএ অফিসে নাম্বার প্লেট সংযোজনকারী পদে কর্মরত ছিলেন। স্ত্রী, সন্তান এবং মাকে নিয়ে তিনি গাইবান্ধা শহরের শাপলা মিল এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
স্থানীয়রা জানান, ঘটনার আগে হৃদয়কে অজ্ঞাত দুই যুবকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের পাশে দাঁড়িয়ে কথা বলতে দেখা যায়। ঘণ্টাখানেক পর তার মরদেহ দরজার সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।
বাসার মালিক আলী ইকবাল জানান, হৃদয় ও বিআরটিএ অফিসের আরেক কর্মী মো. আলমগীর কবির স্টোর রুমটি ব্যবহার করতেন। স্টোর রুম থেকে ডিজিটাল নাম্বার প্লেটসহ বিভিন্ন মালামাল বিতরণ করা হতো।
পুলিশ জানায়, ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা, সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে তদন্ত কার্যক্রম চলছে।
এই ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই দ্রুত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেছেন।
এসআর
মন্তব্য করুন: