[email protected] মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫
৩ আষাঢ় ১৪৩২

গাজীপুরে শ্রমিক বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ ও সংঘর্ষে আগুনে রণক্ষেত্র

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৮ নভেম্বর ২০২৪ ৪:১৮ পিএম

ফাইল ছবি

গাজীপুর মহানগরীর পানিশাইল এলাকায় বেক্সিমকো কারখানার শ্রমিকদের বিক্ষোভের পর অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা ডরিন ফ্যাশন লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ শুরু করেছেন।

 এতে শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে এবং উত্তেজিত শ্রমিকরা একাধিক কারখানায় অগ্নিসংযোগ করেন, যা পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত করে।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে গাজীপুরের পানিশাইল এলাকায় এই সহিংস ঘটনা ঘটে। গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

শ্রমিক, এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সকাল থেকে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকরা গাজীপুরের চক্রবর্তী এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এর ফলে আশপাশের অন্তত ২০টি কারখানা ছুটি ঘোষণা করতে বাধ্য হয়।

এদিকে, ১ নভেম্বর থেকে পানিশাইল এলাকার ডরিন ফ্যাশন লিমিটেড কারখানাটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। রোববার কারখানা খুলে দেওয়া হলেও সোমবার দুপুরের পর আবারও ছুটি দেওয়া হয়। সোমবার সকালে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে গিয়ে কারখানা বন্ধের নোটিশ দেখতে পান, এরপর তারা কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভে নামেন।

এসময় তারা চন্দ্রা-নবীনগর সড়কের জিরানি এলাকায় অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ সৃষ্টি করেন। একই সময়ে, বেক্সিমকো কারখানার শ্রমিকরাও সড়কে অবরোধ করে বিক্ষোভ করছিলেন। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ডরিন ফ্যাশন এবং বেক্সিমকো কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা ও সংঘর্ষ ঘটে, যাতে অন্তত আটজন আহত হন। আহতদের স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

সংঘর্ষ চলাকালে শ্রমিকরা পানিশাইল ও কলতাসুতি এলাকায় প্রবেশ করে স্থানীয়দের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা শুরু করেন এবং মারধর করেন। এতে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে শ্রমিকদের ধাওয়া দেন। কিছু সময় ত্রিমুখী পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলে।

এসময় উত্তেজিত শ্রমিকরা গাজীপুরের জিরানি বাজারে অবস্থিত অ্যামাজন নিটওয়্যার নামের একটি কারখানায় আগুন ধরিয়ে দেন। খবর পেয়ে শিল্প পুলিশ, থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। গাজীপুর ফায়ার সার্ভিস জানায়, জিরাবো এলাকায় বিগবস কারখানার সামনে একটি গাড়িতে আগুন ধরানো হয়, তবে কাশিমপুর থেকে দুটি ইউনিট দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

এছাড়া, আশুলিয়ার অ্যামাজন নিটওয়্যার কারখানায় আগুনের ঘটনা ঘটে। সেনাবাহিনীর সহায়তায় ফায়ার সার্ভিস আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে।

এ পরিস্থিতি এখনও উত্তপ্ত, এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজ করছে।

 

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর