উন্নত চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে
লন্ডনে নেওয়ার নির্ধারিত সময় আবারও পরিবর্তন হয়েছে। এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছাতে বিলম্ব হওয়া এবং তার শারীরিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল না থাকায় টানা তৃতীয়বারের মতো যাত্রা স্থগিত করা হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবি এম আব্দুস সাত্তার জানান, “ম্যাডামের লন্ডনযাত্রা আপাতত পিছিয়ে গেছে। নতুন তারিখ এখনই বলা যাচ্ছে না। এয়ার অ্যাম্বুলেন্স এলে যে কোনো দিনই নেওয়া হতে পারে।”
দলের একজন চিকিৎসকের মতে, খালেদা জিয়ার অবস্থার তেমন পরিবর্তন হয়নি। এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের দেরি ছাড়াও তার শরীর দীর্ঘ ফ্লাইটের জন্য কতটা প্রস্তুত, তা বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে।
বিএনপির অভ্যন্তরীণ সূত্র বলছে, কাতারের সহায়তায় যে নতুন এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা হয়েছে, তা ৬ ডিসেম্বর ঢাকায় নামার কথা থাকলেও সময় পরিবর্তন করে ৯ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রাথমিক পরিকল্পনায় রয়েছে ১০ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে লন্ডনের উদ্দেশে উড়াল দেওয়ার।
এর আগে শুক্রবার সকালে কাতারের আমিরের ব্যবস্থাপনায় বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে খালেদা জিয়াকে লন্ডন নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যন্ত্রাংশগত জটিলতার কারণে শেষ মুহূর্তে তা সম্ভব হয়নি।
পরে বিএনপি জানায়—সব ঠিক থাকলে শনিবার অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকায় পৌঁছাতে পারে এবং তার শারীরিক অবস্থা অনুকূলে থাকলে রোববার লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করতে পারেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও জানিয়েছেন, বিমানের সময়সূচি নির্ভর করছে খালেদা জিয়ার শারীরিক সক্ষমতার ওপর।
গত ২৩ নভেম্বর নিয়মিত পরীক্ষা করতে গিয়ে হাসপাতালে ভর্তির পর থেকে তিনি ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ২৭ নভেম্বর অবস্থার অবনতি হলে তাকে সিসিইউতে নেওয়া হয়। দেশের চিকিৎসকদের পাশাপাশি বিদেশের বিশেষজ্ঞরাও তার চিকিৎসায় যুক্ত হয়েছেন।
৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, কিডনি ও ফুসফুসের অসুস্থতা, চোখের সমস্যা, ডায়াবেটিস এবং আর্থ্রাইটিসসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।
এসআর
মন্তব্য করুন: