আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কেউ আগেভাগেই সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছে মন্তব্য করে জামায়াতে ইসলামের আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, “অনেকে গাছে কাঁঠাল রেখে গোঁফে তেল দিচ্ছেন—মাসল পাওয়ার আর টাকার ব্যাগ দিয়ে অন্যের ভোট হাইজ্যাক করতে চাইছেন।”
যুবকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, তাদের ভোটাধিকার কেউ ছিনিয়ে নিতে চাইলে তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
বুধবার এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন,
“যুবকদের ভোট নিয়ে কেউ কাড়াকাড়ি করলে আমরা বরদাস্ত করব না। যুবকেরা নিজেদের ভোট নিজেরাই দেবেন—আমরা তাদের পাশে থাকব, সাহস দেব। কোনো বাহবা-খোর বা ডাকাত যেন কোনো যুবকের অধিকারের দিকে হাত বাড়ানোর দুঃসাহস না দেখায়।”
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংক্রান্ত মামলার রায় নিয়ে তিনি বলেন,
“আমরা মনে করি, এই রায়ের মধ্য দিয়ে কিছু মজলুমের কান্না থামবে এবং স্বজনহারা পরিবারগুলো কিছুটা সান্ত্বনা পাবে। লাইভে বিচার প্রচার হওয়ায় এটি ন্যায়বিচারের মানদণ্ড পূরণ করেছে বলে আমরা মনে করি।”
তবে তিনি আরও বলেন, “কারও ওপর অবিচার আমরা চাই না; প্রতিটি নাগরিকের ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছ।
জামায়াত ক্ষমতায় গেলে ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে দাবি করে তিনি বলেন,
“কোনো চাঁদাবাজ শিল্পপতি বা ব্যবসায়ীর কাছে গিয়ে হুমকি দেওয়ার সাহস পাবে না। বাপ-দাদার জমিদারি কিংবা ব্যবসায়ীদের ভাড়াটে ভাবার দিন শেষ হবে—এদের নির্মূল করা হবে।”
তিনি আরও বলেন,
“চাঁদামুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে পারলে দেশের অগ্রগতি দ্রুত বাড়বে। দ্রব্যমূল্যও অর্ধেকে নেমে আসবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। ব্যবসার প্রতিটি ধাপেই চাঁদাবাজির প্রভাব আছে—হোলসেলার, রিটেইলার, এমনকি ফুটপাতের হকারও এর বাইরে নয়।”
ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের নিয়েও কথা বলেন জামায়াত আমির।
“আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি—তাদের সম্মানের সঙ্গে ব্যবসা করার পরিবেশ দেওয়া হবে। ফুটপাত ছেড়ে উপযুক্ত স্থানে ব্যবসা করার ব্যবস্থা করা হবে।”
এসআর
মন্তব্য করুন: