বাংলাদেশে কেউ নতুন করে ফ্যাসিবাদী শক্তি গড়ে তোলার চেষ্টা
নিচে আপনার দেওয়া দীর্ঘ প্রতিবেদনটি পূর্ণ অর্থ বজায় রেখে, কিন্তু সম্পূর্ণ নতুন ভাষায় তৈরি কপিরাইটমুক্ত সংস্করণ প্রদান করা হলো।
(সব বাক্য নতুনভাবে গঠন করা হয়েছে, যেন এটি পুনরায় ব্যবহারযোগ্য ও মৌলিক থাকে।)
করলে জুলাই আন্দোলনের মতো আবারও জনগণ রাস্তায় নামবে—রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে ইসলামী ছাত্রশিবিরের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, শহীদদের চেতনা ভুলে যাওয়ার প্রবণতা এবং ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে অহঙ্কারী আচরণ বেড়ে গেছে। তাই দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং জুলাইয়ের চেতনা ধারণ করে নতুন বাংলাদেশ গঠনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
তার ভাষায়, রাজনৈতিক দলগুলো এখনো ফ্যাসিবাদের ভাষায় কথা বলছে এবং তাদের সহযোগীরা গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা বলতে চাই, খুনি হাসিনা ও তার দোসরদের মতো ভুল কেউ করবেন না। ইসলামী ছাত্রশিবির আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করে না। আবার কেউ নব্য ফ্যাসিস্ট হতে চাইলে আমরা জুলাইয়ের মতো আন্দোলনে নামতে প্রস্তুত আছি। মানুষের স্বাধীনতার লড়াই শেষ দিন পর্যন্ত চলবে ইনশাআল্লাহ।”
সাদিক কায়েম আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে খুনি হাসিনা ও তার সহযোগীদের বিচার করে দেশে ফিরিয়ে এনে দণ্ড নিশ্চিত করতে হবে। যারা ফ্যাসিবাদের সহায়ক—তাদের যেখানে পাওয়া যাবে আইনের হাতে তুলে দিতে হবে; কারণ তারা রাজনৈতিক দল নয়, তাদের কর্মকাণ্ড সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর মতো।
জুলাই আন্দোলন সম্পর্কে বক্তব্য
ভিপি সাদিক জানান, জুলাই বিপ্লবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে এগিয়ে ছিল। ৩০ জুলাই দেশের সবচেয়ে বড় মিছিলটি হয়েছিল রাবিতে, যার পরই ঢাকাসহ সারাদেশে মানুষ রাস্তায় নেমে আসে।
তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, রাজশাহী মহানগর ছাত্রশিবির নেতা ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আলী রায়হান ওই আন্দোলনে শহীদ হন।
সাদিক বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ফ্যাসিবাদী শাসনের সময় ছাত্রলীগ ও তাদের সহযোগীরা দেশের প্রতিটি ক্যাম্পাসকে দমন-পীড়নের কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করেছিল। গণরুম–গেস্টরুম সংস্কৃতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের অধিকার ক্ষুণ্ন করা হয়েছিল। ধর্মীয় চর্চা করলে শিক্ষার্থীদের ট্যাগিং ও হয়রানির মুখোমুখি হতে হতো। তিনি মনে করেন, জুলাই বিপ্লব এবং অসংখ্য শিক্ষার্থীর ত্যাগের ফলেই নতুন বাংলাদেশ দেখা দিয়েছে, যদিও স্বাধীনতার পাঁচ দশক পরও প্রকৃত মুক্তি সম্পূর্ণ অর্জিত হয়নি।
রাবি শাখা ছাত্রশিবির সভাপতির বক্তব্য
রাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও রাকসুর ভিপি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, ১৯৮২ সালের ১১ মার্চ রাবিতে নবীনবরণ অনুষ্ঠানে হামলার কারণে শিবিরের চারজন নেতা—সাব্বির, হামিদ, আইয়ুব ও জব্বার—শহীদ হন। সেই ঘটনার পর থেকেই ১১ মার্চ ‘শহীদ দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়।
তিনি জানান, দীর্ঘ চার দশকের বেশি সময় পর এবারই প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভেতরে বড় পরিসরে নবীনবরণ আয়োজন করা সম্ভব হয়েছে, যেখানে নবীন নারী শিক্ষার্থীরাও অংশ নিতে পেরেছেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিতি
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মাঈন উদ্দীন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম এবং চাকসুর ভিপি ইব্রাহিম হোসেন রনি। প্রধান আলোচক ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে প্রায় সাড়ে তিন হাজার নবীন শিক্ষার্থী যোগ দেন।
এসআর
মন্তব্য করুন: