জামায়াতে ইসলামীসহ আট দল অভিযোগ করেছে, সরকারের তিনজন উপদেষ্টা বিএনপির প্রতি ঝুঁকে থেকে সরকারকে ভুল পথে পরিচালিত করছেন।
তাদের দাবি, এসব উপদেষ্টাকে দ্রুত অপসারণ করতে হবে।
শুক্রবার রাজধানীর আল-ফালাহ মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের বলেন, “কমপক্ষে তিনজন উপদেষ্টা সরকারকে মিসগাইড করছেন।
আমরা তাদের নাম প্রধান উপদেষ্টাকে দেবো। এরপরও ব্যবস্থা না নিলে নাম প্রকাশ্যে আনার বিষয়টি বিবেচনা করব।”
আগের দিন জারি করা জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ নিয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে আট দল। তারা তিন দাবি পুনর্ব্যক্ত করে—
১) নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজন,
২) প্রশাসনে দলনিরপেক্ষ কর্মকর্তা নিয়োগ,
৩) সরকারের তিন উপদেষ্টার অপসারণ।
বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে আবদুল্লাহ তাহের বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিলেও একটি রাজনৈতিক দল শুরু থেকেই সংস্কারের বিষয়ে অনীহা দেখিয়েছে।
তার অভিযোগ, সরকারের সঙ্গে বিএনপির আঁতাতে জুলাই সনদের বেশ কিছু ধারা পরিবর্তন করে আদেশ জারি করা হয়েছে। তবে সনদকে সাংবিধানিক ভিত্তি দেওয়ায় তিনি প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি আরও বলেন, পুরো সনদের ওপর গণভোট না করে চারটি বিষয়ে গণভোটের ব্যবস্থা রাখায় জটিলতা তৈরি হবে।
বিএনপির নোট অব ডিসেন্ট রাখতে গিয়েই সনদকে চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে, যা তার মতে আইন ও ন্যায়বিচারের পরিপন্থী।
ফেব্রুয়ারিতে রোজার আগে নির্বাচন আয়োজনে আট দল প্রস্তুত জানিয়ে আবদুল্লাহ তাহের আশঙ্কা প্রকাশ করেন, সরকারের আচরণ এবং কয়েকজন উপদেষ্টার পক্ষপাতের কারণে প্রশাসন দলীয়করণের দিকে যাচ্ছে। এতে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্য দলের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব শেখ ফজলে বারী মাসউদ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মুহাম্মাদ ইউসুফ সাদিক হাক্বানী, নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইযহার চৌধুরী, জাগপার সহসভাপতি ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান, বিডিপির সাধারণ সম্পাদক নিজামুল হক নাঈম প্রমুখ।
এসআর
মন্তব্য করুন: