চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীর ঘনিষ্ঠদের
বিরুদ্ধে সাংগঠনিক পদক্ষেপ জোরদার হয়েছে। দলীয় মনোনয়ন ঘোষণার পর থেকেই অভ্যন্তরীণ বিরোধ তীব্র হয়ে উঠেছে, যার প্রভাব পড়ছে স্থানীয় নেতৃত্বের ওপর।
দলীয় সূত্র জানায়, মনোনয়ন নিয়ে অসন্তোষ ও বিশৃঙ্খলার জেরে একের পর এক নেতা পদ হারাচ্ছেন। অপরদিকে কেন্দ্রীয় বিএনপি বলছে, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য ও প্রকাশ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগেই এসব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে আরও সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সীতাকুণ্ড উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমল কদর, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি মো. মোরছালীন, এবং উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব কোরবান আলী সাহেদ— এ তিনজনের সাংগঠনিক দায়িত্ব সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী শুক্রবার (৭ নভেম্বর) রাতে স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে, গত ৪ নভেম্বর আরও চারজনকে বহিষ্কার করা হয়— উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আলাউদ্দিন মনি, সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মো. মামুন, এবং সোনাইছড়ি ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোমিন উদ্দিন। তারা সবাই আসলাম চৌধুরীর অনুসারী বলে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে।
জানা গেছে, মনোনয়ন না পেয়ে ৩ নভেম্বর আসলাম চৌধুরীর কর্মীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেন। ওই ঘটনার পরপরই কেন্দ্রীয়ভাবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়।
পদ হারানো উপজেলা আহ্বায়ক কমল কদর বলেন, “আমরা আসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে কাজ করছি। তিনি ঢাকায় গিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন এবং মনোনয়নের আশ্বাসও পেয়েছেন। তারপরও আমাদের পদ স্থগিত করা হয়েছে।”
উল্লেখ্য, গত ৩ নভেম্বর বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে প্রার্থী হিসেবে কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের নাম ঘোষণা করেন। এর পর থেকেই মনোনয়ন বঞ্চিত আসলাম চৌধুরীর অনুসারীরা প্রকাশ্যে অসন্তোষ দেখিয়ে আসছেন।
এসআর
মন্তব্য করুন: