বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন,
দেশের জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে আধিপত্যবাদের ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে গৃহবন্দী অবস্থা থেকে মুক্ত করেছিলেন এবং তিনিই পরবর্তীতে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
তিনি বলেন, এই ঘটনাই ছিল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার মোড় ঘোরানো মুহূর্ত। শহীদ জিয়া একদলীয় শাসনব্যবস্থার অবসান ঘটিয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেন এবং জনগণের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) জাতীয় শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি আরও বলেন, মাত্র চার বছরে জিয়াউর রহমান দেশের রাজনীতি ও অর্থনীতিতে মৌলিক পরিবর্তন আনেন। তিনি সংবাদপত্রের স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার করেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষা করতে জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করেন এবং মুক্ত বাজার অর্থনীতির ভিত্তি স্থাপন করেন। সুখী, সমৃদ্ধ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গঠনের যে ভিত তিনি স্থাপন করেছিলেন, পরবর্তীতে দেশ সেই ধারাতেই এগিয়েছে। তাই ৭ নভেম্বর শুধু বিএনপির নয়, দেশের গণতন্ত্রপ্রেমী মানুষের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন।
গণঅভ্যুত্থানের পর বর্তমানেও নানা ধরনের ষড়যন্ত্র চলছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ৭ নভেম্বরের বিপ্লব ও সংহতি দিবস আমাদের শেখায়— সত্যিকারের গণতান্ত্রিক ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্র গড়তে হলে জনগণের ভোট ও বিচার পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আব্দুল মঈন খান, সালাহ উদ্দিন আহমেদ, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনসহ দলের শীর্ষ নেতারা।
এসআর
মন্তব্য করুন: