[email protected] শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫
১৫ কার্তিক ১৪৩২

ক্ষমতায় গেলে ‘রেইনবো নেশন’ গড়বে বিএনপি : মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৪ অক্টোবর ২০২৫ ৮:৩০ পিএম

সংগৃহীত ছবি

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দেশের সব জাতি ও জনগোষ্ঠীকে একত্র করে ‘রেইনবো নেশন’ (রংধনু জাতি) গড়ে তুলবে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রতিনিধি গারো সম্প্রদায়ের এক অনুষ্ঠানে তিনি এ ঘোষণা দেন।

মির্জা ফখরুল বলেন,

“আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ২০২২ সালে যে ৩১ দফা ঘোষণা দিয়েছেন, সেখানে তিনি স্পষ্টভাবে বলেছেন— আমরা একটি রেইনবো নেশন গড়ে তুলব। অর্থাৎ এমন একটি রাষ্ট্র, যেখানে সব সম্প্রদায় অন্তর্ভুক্ত থাকবে এবং তারা দেশের অগ্রযাত্রায় অবদান রাখতে পারবে। আগামীতে বিএনপি সরকারে এলে ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর সমস্যা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হবে।”

গারো সম্প্রদায়ের দাবির প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন,

“বেগম খালেদা জিয়ার ঘোষিত ভিশন–২০৩০ কর্মসূচিতে সমতলের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সংরক্ষণের পাশাপাশি তাদের উন্নয়নের জন্য পৃথক অধিদপ্তর গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। বিএনপি আগামীতে সরকারে এলে ঢাকায় ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য একটি পৃথক সাংস্কৃতিক একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা হবে। পাশাপাশি গারো সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী **‘ওয়ানগালা’ উৎসব সরকারিভাবে পালনের বিষয়টিও বিবেচনা করা হবে।”

মির্জা ফখরুল আরও বলেন,

“ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীগুলোকে বাংলাদেশের মূল ধারার সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। নিজেদের বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানই প্রথম বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শুধু বাঙালি নয়, দেশের সব জাতিগোষ্ঠীকে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। তখন থেকেই আমরা গারোসহ সব ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সংস্কৃতি ও কৃষ্টি টিকিয়ে রাখতে কাজ করছি। তাদের আর্থিক অবস্থার উন্নয়নই এখন সবচেয়ে জরুরি।”

তিনি আরও যোগ করেন,

“বিএনপির দায়িত্ব হলো— যেসব সম্প্রদায় মূলধারার বাইরে রয়েছে, তাদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা এবং তাদের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়নে সহায়তা করা। পাশাপাশি তাদের নিজস্ব কৃষ্টি ও সংস্কৃতিও সংরক্ষণ করা।”

এসময় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন,

“আপনারা নিজেদের দুর্বল ভাববেন না। সংখ্যায় কম হলেও আপনারা আমাদের ভাই, আমাদেরই অংশ। আমরা বাংলাদেশি— একে অপরের পাশে আছি। আপনাদের যে কোনো দাবি বা সমস্যা আমাদের জানালে আমরা তা সংসদে তুলে ধরব। আপনাদের প্রতিনিধির মতো আমরাও আপনাদের পক্ষে কথা বলব।”

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সঞ্চয় নাফাকে।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, জাতীয়তাবাদী ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী দলের সভাপতি মৃগেন হাগিদক, ক্রিস্টিয়ান সার্ভিস সোসাইটির পরিচালক বাপন মানকিন, বিরিশিরি কালচারাল একাডেমির পরিচালক পরাগ রিটসিল এবং আয়োজক কমিটির সদস্য শুভজিট স্যানগমা নাকমা প্রমুখ।

এসআর

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর